নির্মাণ সামগ্রীর দাম ঊর্ধ্বমুখীতে লোকসানে পড়েছে ঠিকাদাররা
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :
রড, সিমেন্ট, ইটসহ সব ধরনের নির্মাণ সামগ্রীর দাম হু হু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় বড় ধরনের লোকসানে পড়েছে বিভিন্ন মহলের ঠিকাদাররা। কিভাবে কাজ সম্পন্ন করবে, তা নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েছে তারা।
গত ছয় মাসের মধ্যে এমন দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে আবার কাজ বন্ধ করেও রেখেছে। তবে ঠিকাদারদের দাবি সরকার নির্মাণ সামগ্রীর দাম কমালে বড় ধরনের লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পাবে ঠিকাদাররা।
বরগুনা সদরের রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী আবু হানিফ দোলন জানান- এ্যলিফ্যান্ট সিমেন্টের প্রতি বস্তার দাম ছিল ৪৩০ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫০০ টাকা। অন্যান্য ব্রান্ডের সিমেন্টের দাম বস্তা প্রতি ৩০- ৪০ টাকা করে বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিবস্তা ৪৮০-৪৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক মাস আগে বিএসআরএম রডের প্রতি কেজি দাম ছিল ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা। তা বেড়ে এখন ৮২ টাকায়। ইটের দাম গাড়ি প্রতি বেড়েছে এক হাজার টাকা করে।
পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী এলাকার ঠিকাদার বাবুল মিয়া বলেন- তিনি যখন কাজের টেন্ডার পেয়েছেন তখন রডের দাম ছিল ৫৮ টাকা থেকে ৬০ টাকা। কাজ শুরুর পরপরই রডের কেজি দাঁড়িয়েছে ৬৫ টাকা। এখন ৮২ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। সিমেন্ট বস্তা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এই কাজ শেষ করতে গেলে তাদের লক্ষ লক্ষ টাকা ভর্তুকি গুনতে হবে।
বামনা উপজেলার ঠিকাদার মোস্তফা ফকির জানান- রড সিমেন্ট কোম্পানী গুলো দাম বাড়িয়েছে। এর প্রভাব বাজারে পড়েছে। ঢেউ টিনের দাম প্রতি বান্ডিলে ২শ' টাকা থেকে ৪শ' টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ১৭শ' টাকা বান্ডিলের টিন বেড়ে ১৯শ' টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ৩ হাজার টাকা বান্ডিলের টিন ৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং ৪ হাজার ৬০০ টাকা বান্ডিলের ঢেউ টিন দাম বেড়ে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নির্মাণ ব্যায় বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝিনাইদহের অনেক উন্নয়ন কাজ বন্ধ রয়েছে।
বরগুনা জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি কিসলু মিয়া জানান- ইট তৈরির খরচ বেড়ে যাওয়ায় ইটের দামও চড়ে গেছে। ইটের দাম হাজার প্রতি এক হাজার টাকা বেড়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনার নির্মান কাজ সংশ্লিষ্ট কোন দপ্তর প্রধানরা কথা বলতে রাজি হননি।