বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে হার্টের রিং পড়ানোর কার্যক্রম উদ্বোধন
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে হার্টের রিং পড়ানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে ক্যাথল্যাবে স্টেনটিং বা রিং পরানো এর উদ্বোধন করা হয়। স্টেনটিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর মীর জামাল উদ্দিন।
উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, শজিমেকে হৃদরোগীদের আরো এক ধাপ উন্নত চিকিৎসার দ্বার উন্মোচন হলো। এ ধরনের রোগীদের বিগত সময়ে এনজিওগ্রামসহ যাবতীয় চিকিৎসা হলেও রিং পরানো হত না। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের সহযোগিতায় বগুড়াসহ উত্তারাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় স্টেনটিং এর কার্যক্রম শুরু হবে। এতে সকল শ্রেণি পেশার মানুষেরা এই সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রথমদিন ১৩জন রোগী ভর্তি করা হয়েছে। এই হাসপাতালে রিং পড়াতে ৭০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ পড়বে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শজিমেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মহসিন, অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর সাবিনা হাসিম, এ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. একেএম মনোয়ারুল ইসলাম, রেজিস্টার ডা. মো. শফিক শাহারিয়ার, সহকারী প্রফেসর ও শজিমেক কার্ডিওলজি বিভাগীয় প্রধান ডা. শেখ মো. শাহিদুল হক, শজিমেক ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. সুশান্ত কুমার সরকার, বগুড়া সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু, প্রফেসর ডা. মজিবর রহমান সেলিম, ডা, শিবলী হায়দার, শজিমেক উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ, বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. এটিএম নুরুজ্জামান।
এর আগে দুইদিন ব্যাপি কর্মশালা শজিমেক সহকারী প্রফেসর কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. শহিদুল হকের সভাপতিত্বে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং বিআরআইসি ঢাকা যৌথ আয়োজনে হোটেল নাজ গার্ডেনে গত শুক্রবার শুরু হয়। কার্ডিওলজি বিভাগের ক্যাথল্যাবে স্টেনটিং বা রিং পরানোর বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ, এতদিন ওই হাসপাতালে শুধু এনজিওগ্রাম করা হলেও এনজিওপ্লাস্টিং বা স্টেনটিং করা হতো না। রিং পড়ানোর কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে বগুড়াসহ আশে পাশে জেলাগুলোর রোগীরা স্বল্প খরচে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পাবে।
জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৩১ আগস্ট বগুড়া শহরের ছিলিমপুরে শজিমেক হাসপাতালের উদ্বোধনের কয়েক মাস পর ওই হাসপাতালে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে এনজিওগ্রাম চালু করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন ২০১৪ সাল পর্যন্ত এনজিওগ্রাম বন্ধ থাকার পর ২০১৯ সালে নতুন মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে ২০২০ সাল থেকে আবারও এনজিওগ্রাম চালু করা হয়।
শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগিতায় হাসপাতালে স্টেনটিং বা রিং পড়ানো কার্যক্রম শুরু হলো। এই হাসপাতালের ১৩ সদস্যের একটি টিম বগুড়ায় এসেছে। তারাই স্টেনটিং করবেন। এরপর থেকে এখানে সপ্তাহে ২ দিন করে রিং পড়ানো হবে। এতে করে বগুড়াসহ আশেপাশের জেলার হার্টের রোগীরা খুব স্বল্প খরচে এখানে হার্টের চিকিৎসা করাতে পারবেন।