শীতের জানান দিতে ভাপা, চডা ও চিতই পিঠার মহোৎসব
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা):
শিশির ভেজা শীতের সকাল যেনো চাদরে মোড়ানো এক উষ্ণ আভায় পূর্ণ। প্রকৃতির নিয়মানুসারে নির্দিষ্ট সময়ের পর ঋতুর পরিবর্তন ঘটে। আর একেক ঋতুর রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য। তেমনি শীতকাল উপভোগ্য এক ঋতু।
শীত মানেই পিঠাপুলির সাথে ভাপা, চডা ও চিতই পিঠায় অলিগলি আর রাস্তার পাশে ভীড় জমানো অপেক্ষা। শীতকালে অন্যসব পিঠার মধ্যে জনপ্রিয় পিঠা হলো ভাপা পিঠা। গ্রাম ও শহরের প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে এখন শীতকালীন ভাপা পিঠা তৈরির ধুম পড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় নিম্নবিত্ত পরিবারের মহিলারা সন্ধ্যার গায়ে অস্ত যাওয়ার সাথে সাথেই উনুন জ্বালিয়ে ব্যবসায়ীক মনস্তাপে বসে যায় ফুটপাতে।
সাধারণত ভাপা পিঠা দুই উপায়ে তৈরি ও তিন পদ্ধতিতে খাওয়া হয়। এরমধ্যে চালের গুঁড়ার সাথে খেজুরের গুড় মিশিয়ে ও গুড় ছাড়া আলাদাভাবে তৈরি করা হয়। তৈরিকৃত ভাপা পিঠা ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস, মাংসের ঝোল ও খেজুরের গুড় মিশ্রণগুলো খালি ভাবে খাওয়া হয়। তবে আগেকার দিনের মতো অত্যন্ত সুস্বাদু খেজুরের রস খুঁজে পাওয়া ভার।
অন্যদিকে- নতুন এক সাজ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে চিতই ও চডা পিঠা। সাধারণ চিতই পিঠা থেকে শীতকালীন চিতই পিঠা অনেকটা বড়। এটি খাওয়ার জন্য তৈরি করা হয় বিভিন্ন ধরণের ভর্তা।
এরমধ্যে- সরিষা, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ, মুশুর ডাল, শুঁটকি ভর্তা অন্যতম।
কোন কোন স্থানে কেবল বিকেলেই নয়, বরং সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত এ তিন ধরণের শীতকালীন পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করেন মহিলা পিঠা বিক্রেতারা। কোথাও কোথাও আবার শীতকালীন এ পিঠাকে কেন্দ্র করে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করা হয় নানা ধরনের মজাদার পিঠা।
এরমধ্যে- ভাপা, কুলি, রসের শিন্নি, দুধপুলি, চ্যাবা, দুধ চিতই পিঠা ছাড়াও নতুন নতুন পিঠের জন্ম দেয় শীতকালীন এ ঋতুতে।
সব ঋতুকে হার মানিয়ে বারেবারে ফিরে আসুক শীতের ঋতু। কোকিলের কুহু সুরের মতো হরেক পিঠের উৎসবে মুখরিত থাকুক পুরো শীত জুড়ে।