বান্দরবানে অনুষ্ঠিত হয়েছে বম সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব
সোহেল কান্তি নাথ, (বান্দরবান):
বান্দরবানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট (কেএসআই) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে বম সম্প্রদায়ের নবান্ন ফাথারবুহ্ তেম ও লোকজ সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ শনিবার (২৭ নভেম্বর ২০২১) সকালে সদর উপজেলার গেৎশিমনী পাড়ার প্রেসবেটারিয়ান চার্চের মাঠে এই নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। জুমের নতুন ফসল ঘরে তোলার পর দেব দেবীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার মাধ্যমে পাড়া প্রতিবেশীদের নতুন ধানের পিঠা জুমে উৎপাদিত বিভিন্ন ফল ফসলাদি খাওয়ানোর মাধ্যমে বম সম্প্রদায়ের লোকেরা এ নবান্ন উৎসব পালন করে থাকে। বমদের ঐতিহ্যবাহী এ অনুষ্ঠানে হরেক রকমের পিঠা, জুমে উৎপাদিত বিন্নি চাল, মিস্টি কুমড়া, কলা, পেঁপে, তিল, মরিচ, ভুট্টাসহ ৩৮ রকমের ফল ফসলাদি প্রদর্শন করা হয়। এসময় উৎসব উপলক্ষে বম সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নাটক নৃত্য গান ও বিলুপ্তপ্রায় লোকসংস্কৃতি পরিবেশন করা হয়। পরে দুপুরে উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথিদের জুমে উপাদিত ফল ফসলাদি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সিং ইয়াং খুমীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুরাইয়া আক্তার সুইটি, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা আরফিন মুস্তফা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউট পরিচালক মং নু চিং সহ বিভিন্ন পাড়ার কারবারী মৌজার হেডম্যানসহ বম সম্প্রদায়ের জুমচাষীরা উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য অঞ্চলের মারমা সম্প্রদায়ের বিলুপ্তপ্রায় ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতিকে সংরক্ষণের জন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউট ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর এ নবান্ন উৎসবের আয়োজন করে আসছে বলে জানান কেএসআই পারিচালক মংনু চিং মারমা।