সংখ্যালগুদের জমিতে ঘর নির্মান: আদালতে চলমান মামলায় পুলিশের রায়
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা):
বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী কলেজ গেইট এলাকায় শিবু ডাক্তারের জৈষ্ঠ্য পুত্র সঞ্জিব কুমার শীলের ক্রয়কৃত জমিতে একই এলাকার প্রভাবশালী ছগির বাহিনী রাতের আধাঁরে ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে।গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর ২০২১) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এঘটনা ঘটে।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে- গত দেড় বছর আগে সমির চন্দ্রশীল তার বাবা শিবু ডাক্তারের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি ও তার ফুপাত ভাই ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করে। ওই জমির উপরে গত মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর ২০২১) রাতে ছগির ও তার বাহিনী এ জমি দাবি করে দুটি ঘর তোলে। শিবু ডক্তার এ ব্যাপারে চান্দখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে অভিহিত করছেন।
এবিষয়ে সঞ্জিব কুমার শীলের পিতা শিবু ডাক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমার বড় ছেলে সঞ্জিব চন্দ্রশীল আমার কাছ থেকে আয়লা চান্দখালী মৌজার ২৮০ নং খতিয়ানের ১১৬৪ নং দাগে পাঁচ কড়া জমি ক্রয় করে। গত দেড় বছর আগে ওই জমির দলিল রেজিস্ট্রি ভুক্ত হয়। এছাড়াও সমির আমার ভাগ্নে- সুদির, স্বপন, তপন, নিমাই ও গোপাল ওদের কাছ থেকে একই মৌজার ১২১০ নং দাগের ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করে সঞ্জিব।
কিন্তু আমাদের একই এলাকার মৃত. আঃ আজিজের ছেলে ছগির ও তার ভাইয়েরা আমার ছেলের ক্রয়কৃত জমি দাবী করে ওই জমির উপরে প্রভাব খাটিয়ে গত মঙ্গলবার তারা রাতের আঁধারে দুটি বসত ঘর স্থাপন করে। এব্যাপারে আমি চান্দখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রুহুল আমীনকে অবহিত করলে সে কোন গুরুত্ব না দিয়ে আমাকে পাঠিয়ে দেয় এবং বলে তোমার ছেলে জমি পাবে না। ছগিরের কাগজ সঠিক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন- এ জমির উপরে বর্তমানে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা চলাকালীন অবস্থায় একজন পুলিশ ইনচার্জ কিভাবে বলে আপনার কাগজ সঠিক নয়। ছগিরের কাগজ সঠিক রয়েছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে এর সঠিক সমাধানসহ সুষ্ঠু বিচার চাই।
সঞ্চিব কুমার শীল বলেন- ছগির আমার ফুপাত ভাইদের কাছ থেকে অনেক আগে কিছু জমি ক্রয় করেছে এবং তাকে দলিলও তারা দিয়েছে। আমি মনে করি এসব মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিওিহীন। ওদের কাজই হচ্ছে মানুষকে জিম্মি করে রাতের আঁধারে অন্যের জমি দখল করা। আমি আপনাদের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্তকারী ছগিরের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন- অনেকে দিন আগে আমি এ জমি ক্রয় করেছি। আমার ক্রয়কৃত জমিতে আমি দখল নিয়েছি অন্য কিছুই নয়।
তিনি আরও বলেন- এ ব্যাপারে চান্দখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রুহুল আমিন আমাকে বলেছে আমার কাগজই সঠিক রয়েছে।
এ ব্যাপারে চান্দখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রুহুল আমীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর তুলতে নিষেধ করলে তারা ঘর তোলার কাজ বন্ধ করে দেয়।