বগুড়ায় দুই যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়ার রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের তুত বাগানে ফরহাদ হোসেন (২৫) নামে এক তরুণ এবং সারিয়াকান্দিতে নাহিদুল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবকের গলায় ফাঁস নেয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে।
রোববার (২১ নভেম্বর) সকালের দিকে শাজাহানপুর উপজেলার ফুলদীঘি এলাকার তুত বাগান ও সারিয়াকান্দি উপজেলার পূর্বচর শনপঁচা এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারণা করছেন, ফরহাদ নেশাগ্রস্ত এবং নাহিদুল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
ফরহাদ পার্শ্ববতী গ-গ্রামের পূর্ব পাড়ার রফিকুল ইসলাম বাবুর ছেলে। তিনি আগে ট্রাকের হেলপার ছিলেন। গত চার মাস ধরে বেকার অবস্থায় রয়েছেন। নাহিদ ওই এলাকার মৃত হায়দার আলীর ছেলে। তিনি আগে ইমামতি করতেন।
ফরহাদের ছোট ভাই ফয়সাল (২২) বলেন, তার বড় ভাই গাড়িতে হেলপার হিসেবে থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নেশায় আসক্ত। ফরহাদ নিয়মিত বাড়িতেও থাকতেন না। গত চারদিন আগে কিছু টাকা পয়সা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এর মধ্যে আর আসেননি বলে জানান মৃতের ছোট ভাই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ মাঝেমধ্যে তুতবাগানের ফাঁকা এলাকায় এসে থাকতেন। নেশাও করতেন এখানে। এ জন্য তাকে তাড়িয়েও দেয়া হয়েছিল।
রোববার সকাল ৮টার দিকে রেশম বোর্ডের পশ্চিম পাশের বাগানে লোকজন কাজ করতে এসে পরিত্যক্ত পলু (রেশম গুটি) ঘরের ছাদে লাশ ঝুলতে দেখেন। পরে খবর দিলে শাজাহানপুর থানার কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা উপস্থিত হন।
কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান বলেন, পাইকড় গাছের একটি ডালে মশারির কাপড় গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ফরহাদের লাশ পাওয়া যায়। লাশের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ফরহাদ নেশা করত এমন অনেক আলামত এখানে পাওয়া গেছে।
কৈগাড়ি ফাঁড়ির পরিদর্শক সৈকত বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সঠিক জানা যাবে।
এদিকে সারিয়াকান্দিতে নাহিদুল ইসলামের স্বজনরা জানান, নাহিদ বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন। শনিবার রাতে কোন এক সময় তিনি সবার অগোচরে বাড়ির পাশের গাছে ওড়নার সঙ্গে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে রোববার ভোরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
সারিয়াকান্দি থানার এসআই মাহবুব বলেন, কারও কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।