South east bank ad

পর্যাপ্ত সুবিধা নেই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে, আছে নিয়মের গ্যাড়াকল

 প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েন লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে গিয়ে নিয়মিত হয়রানির শিকার হন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্যাটালগ থেকে বইয়ের প্রথম অক্ষর অনুসারে অনেক বই থেকে নিজের পছন্দের বইয়ের নাম বের করে ওটার ক্যাটালগ নাম্বার লিখে গ্রন্থাগারে গিয়ে জমা দেয়া। তারপর সেখানে কর্মচারীরা ক্যাটালগ অনুসারে বই খুঁজে দেয়া। অথচ শিক্ষার্থীদের সরাসরি বই নেয়াতে এক্সেস থাকলে সুবিধা হতো। এত প্রসিডিওরে সময়ও নষ্ট হতো না আর কষ্টও লাঘব হতো। অনেক সময় তো ক্যাটালগে বই থাকলেও বই খুঁজতে গিয়ে ৩০-৪০ মিনিট পার করে এসে দায়িত্বরতরা বলেন, ‘বই নেই’।

গ্রন্থাগার সূত্রে জানা যায়, এখানে মোট বইয়ের সংখ্যা ৩১ হাজার ৬০০ যা প্রয়োজনের তুলনায় অপার্যপ্ত। ৮টি পাবলিশার্সের প্রকাশনায় ই-বুকসের সংখ্যা ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪০০। ই-জার্নালের সংখ্যা ৪৪ হাজার ১০০টি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ই-লাইব্রেরি সেবা চালু হয় ২০১৫ সালের ৩ মার্চ। এবং ই-লাইব্রেরির জন্য ল্যাপটপ আছে ১০৩টি। গবেষণা কাজের জন্য প্রিজার্ভ পত্রিকা ৯টি। রেফারেন্স বই ১ হাজার ৪৮০ টি, পিরিউডিক্যাল বই ২ হাজার ৪০৫টি। রেফারেন্স শাখায় জার্নাল ১ হাজার ১০১টি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১ হাজার ৬৭২টি।

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদের ৩৮টি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য চারটি গবেষণা কক্ষ এবং ৩৫০ টি আসন আছে।

পর্যাপ্ত বই কেনো নেই এমন প্রশ্নের জবাবে গ্রন্থাগারিক এনামুল হক বলেন, বই কেনার এখতিয়ার আমাদের আছে তবে এখানে বই কেনার বাজেট ডিপার্টমেন্টগুলোতে ভাগ করে দেয়া হয়। সেখান থেকে প্রতি বিভাগ থেকে ৩ কপি কেনা হয় এবং আমাদের দুই কপি বা এক কপি দেয়ার কথা, তবে অনেক সময় আমরা তাও পাই না।

গ্রন্থাগারে বই নিয়ে প্রবেশের নিয়মের ব্যাপারে তিনি বলেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারেই বই নিয়ে প্রবেশের নিয়ম নেই, তবে আমাদে যদি অন্য কোথাও আলাদা জায়গা দেয়া হয় তাহলে আমরা বই নিয়ে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে পারি।

গ্রন্থাগার সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের রূঢ় ব্যবহারের ব্যাপারে তিনি বলেন, গ্রন্থাগার সংশ্লিষ্ট কেউ যদি কোনো শিক্ষার্থীর সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকে আমাদের জানানো হলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো।

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সার্বিক বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১২ সাল থেকে গ্রন্থাগার অটোমেশনের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, আশাকরি খুব দ্রুতই আমাদের সেই কার্যক্রম শুরু হবে। ঘরে বসে শিক্ষার্থীরা যাতে ই-লাইব্রেরি এক্সেস করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। আধুনিকায়ন হলে শিক্ষার্থীদের সমস্যা ৯০ শতাংশ কমে যাবে বলে তিনি আশা করেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারমুখী করার জন্য আমরা আগামী বছর থেকে গ্রন্থাগার কর্তৃক ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক নতুন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা করব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণের পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, গ্রন্থাগারিকের সঙ্গে আমরা বেশ কয়েকবার মিটিং করেছি। গ্রন্থাগারকে শিক্ষার্থীবান্ধব করার জন্য আমাদের চেষ্টা আছে। কিছু নিয়মনীতি শিথিল করার বিষয়ে আমরা ভাবছি। তবে উন্মুক্ত গ্রন্থাগারে যারা পড়ে তাদের বেশিরভাগই চাকরি প্রত্যাশী, যারা পাস করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে নিয়মিত শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যরা ঢুকতে পারবে না।

ভিসি অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন কাজ অব্যাহত আছে। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারমুখী করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বাজেট বাড়িয়েছি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে একাডেমিক বই কেনার ব্যবস্থা করছি। যার এক কপি বই থাকবে ডিপার্টমেন্টের সেমিনারে আর এক কপি থাকবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে।

শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারমুখী না হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিসিএস কেন্দ্রীক হওয়ায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে কম অগ্রসর হয়।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: