বঙ্গবন্ধুর স্মরণে রাজবাড়ীতে সাইকেল র্যালি
খন্দকার রবিউল ইসলাম, (রাজবাড়ী):
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত এলাকা রাজবাড়ী। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বানে মো. ওয়াজেদ চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণায় রাজবাড়ীতে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই প্রচারণায় অনেকেই তার সহযাত্রী ছিলেন। সময়ের বির্বতনে অনেকেই হারিয়ে গিয়েছেন পৃথিবী থেকে। সেদিনের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বেঁচে আছেন মো. শওকত আলী। রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কাছে সাইকেলে চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী প্রচারের বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। এরপর রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় সাইকেল র্যালি। র্যালি ঘিরে রাজবাড়ীতে শহরজুরে পরিনত হয় উৎসবে। প্রায় ৩শতাধিক সাইকেল চালক র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজরিত এলাকা রাজবাড়ী। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের সময় মো. ওয়াজেদ চৌধুরীর নির্বাচনী প্রচারণায় রাজবাড়ীতে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাইকেল চালিয়ে মেঠো পথের গ্রামের পর গ্রাম নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন তিনি।
সেদিনের প্রচারণায় অনেকেই তার সহযাত্রী ছিলেন। প্রচারণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বেঁচে আছেন মো. শওকত আলী। তিনি রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের কাছে এই বিষয়টি তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বঙ্গবন্ধুর স্মরণে আয়োজন করেন সাইকেল র্যালি।
শনিবার সকাল থেকেই রাজবাড়ী পৌরসভার শ্রীপুর বাস টার্মিনালে আসতে থাকে সাইকেল আরোহীরা। একে একে ৩ শতাধিক সাইকেল আরোহী র্যালিতে অংশগ্রহণের জন্য উপস্থিত হয়। শান্তির প্রতিক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সাইকেল র্যালির উদ্বোধন করেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী ও আমন্ত্রিত অথিথিবৃন্দ। এরপর রাজবাড়ীতে বঙ্গবন্ধুর কর্মজীবন ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন তাঁরা। নারী থেকে পুরুষ, নবীন থেকে প্রবীন সবাই অংশ গ্রহণ করেন সাইকেল র্যালিতে। রাজবাড়ী বাস টার্মিনাল থেকে রাজবাড়ী শহিদ খুশি রেলওয়ে মাঠে গিয়ে শেষ হয় সাইকেল র্যালিটি। র্যালিকে ঘিরে রাজবাড়ী বাস টার্মিনাল ও শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠ উৎসবে পরিণত হয়।
এটি শুধু উৎসব নয়, র্যালিকে ঘিরে ছিলো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আবেগ।
বঙ্গবন্ধু অতি সাধারণ। তিনি সাইকেল চালাতেন, সবার সাথে মিশতেন। তাঁর জীবন থেকে আমার সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত।