শিরোনাম

South east bank ad

কর্মশালায় অভিমত শব্দদূষণের মারাত্মক ঝুকিতে বরিশাল মহানগর

 প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এম.মিরাজ হোসাইন, (বরিশাল):

শব্দদূষণের মারাত্মক ঝুকিতে আছে বরিশাল মহানগর। ইতিমধ্যে নগরীতে শব্দদূষন সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে। যেভাবে দূষন বাড়ছে অদুর ভবিষ্যতে মহানগরে শব্দদূষন মহামারি আকার ধারন করতে পারে। বরিশালে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রশিক্ষন কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

বরিশালের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘শব্দদূষন নিয়ন্ত্রনে সমম্বিত ও অংশিদারিত্বমূলক প্রকল্প’ এর আওতায় পরিবহন চালকও লঞ্চ শ্রমিকদের শব্দসচেতনামূলক এ প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আব্দুল হালিম।

কর্মশালায় জানানো হয়, বরিশাল মহানগরে শব্দদূষনের মাত্রা হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৩১ ডেসিমেল এবং সর্বনিন্ম ৫৪ ডেসিমেল। অথচ শব্দের স্বাভাবিক সহনীয় মাত্রা হচ্ছে ৪০-৪৫ ডেসিমেল। অর্থাৎ ইতিমধ্যে স্বাভাবিক সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে। কর্মশালায় জানানো হয়, শব্দদূষণ ৬০ ডেসিমেল হলে মানুষ সাময়িক বধির এবং ১০০ অতিক্রম করলে পুরোপুরি বধির হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।

সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বরিশালের উপ পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, যানবহনে ব্যবহৃত হাইড্রোলিক হর্ণ শব্দদূষনের প্রধান কারন। বরিশালের শতভাগ পরিবহনে এ হর্ণ ব্যবহৃত হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে এসব হর্ণ জব্দ করা হলেও স্থায়ীভাবে বন্ধ করা যাচ্ছেনা।

এর কারন হিসাবে উপ পরিচালক বলেন, হাইড্রোলিক হর্ণের মূল্য কম হওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে আবার সেগুলো পরিবহনে স্থাপন করা হয়। কর্মশালায় অংশগ্রহনকারী যানবহন চালকদের হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার না করার অঙ্গীকার করানো হয়।

বরিশাল জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহ জাহান বলেন, সড়কপথে দায়িত্বপালনকারী ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের অনেক সদস্য শব্দদূষনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

কর্মশালার প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, দূষনরোধে আইন প্রয়োগের আগে সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে প্রধান কাজ। এরপরে অসচেতনকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে পরিবেশ আইনের আওতায় আনা হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: