নির্বাচনের ৪ দিন পর কেন্দ্রে পাওয়া গেল ৬৯১টি ব্যালট পেপার
মো: আব্দুস ছাত্তার, (ফুলবাড়িয়া) :
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের বেড়ীবাড়ী সরাতিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র হতে ৬৯১ টি খালি ব্যালট পেপার উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার (১৫ নভেম্বর) ইউএনও আশরাফুল সিদ্দিক, ইউনিয়ন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি অফিসার জেসমিন নাহার, নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে এসব ব্যালট পেপার উদ্ধার করেন।
জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে গত ১১ নভেম্বর সারা দেশের ন্যায় ফুলবাড়িয়াতেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পুটিজানা ইউনিয়নের বেড়ীবাড়ী সরাতিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে সোনালী ব্যাংক ফুলবাড়িয়া সদর শাখার সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) মাসুদুল ইসলাম কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি নির্বাচন শেষ করে চলে আসেন এবং রিটার্নিং অফিসার ফলাফল ঘোষণা করেন। পরদিন শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ পরিস্কারের সময় দেখা মিলে ব্যালট পেপারের। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কে জানানো হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শনিবার নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল আলীম আবদুল্লা’র কয়েকশ কর্মী ও সমর্থক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এর জেরে পুটিজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ময়েজ উদ্দিন তরফদার কে সন্দেহ করে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা। তারা ময়েজ উদ্দিন সমর্থক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহানের ওপর হামলা চালায়। শাহজাহান ওই এলাকার বাসিন্দা।
পুটিজানা ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জেসমিন নাহার বলেন, উদ্ধার করা ১০টি ব্যালট পেপার বইয়ের মধ্যে ৩ টি পুরোটা বই৷ বাকী ৭ টা সিলবিহীন আংশিক কাটা ব্যালট পেপার। এ বিষয়ে আর বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি তিনি।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোতালেব হোসেন জানান, বিদ্যালয় কক্ষ পরিস্কার করার সময় তিনি ব্যালট পেপারের বইগুলো দেখতে পেয়ে উপজেলা প্রশাসনকে জানান। ব্যালট পেপারগুলো সিলবিহীন ছিল বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল সিদ্দিক জানান, তাড়াহুড়া করে কেন্দ্র থেকে আসার সময় প্রিজাইডিং অফিসার ব্যালট পেপারগুলো কেন্দ্রে ফেলে এসেছিলেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন অফিস তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
ঐ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মাসুদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ে ব্যালট পেপার পাওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ব্যালট পেপার কোথা থেকে আসলো এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।