শিরোনাম

South east bank ad

বগুড়ায় ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই পরাজিত প্রার্থীসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় ভোটের দিন কেন্দ্র ঘেরাও করে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুবলীগনেতা এবং দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদি হয়ে শিবগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন। এতে নামীয় আসামী ছাড়াও অজ্ঞাত আরো ৪০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মামলার বাদি আনিছুর বগুড়া সোনাতলা থানার এসআই। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ভরিয়া দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেন।

মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন- দেউলী ইউনিয়নের চশমা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী (পরাজিত) বিএনপি নেতা মোতাসিম বিল্লা, একই ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী যুবলীগনেতা (পরাজিত) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন টুটুলসহ তাদের সহযোগী আল-আমিন, জাকিরুল।

জানা গেছে, উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ভরিয়া দ্বিমুখী ভোট কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ, আনসারসহ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে তাদেরকে উদ্ধার করে। বিক্ষুব্ধ জনগণকে ছত্রভঙ্গ করতে শর্টগান দিয়ে ২০৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ জনগণের তা-বে ১০ লাখ টাকার সরকারি ক্ষতি হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা রহবল গ্রামের রহবল উচ্চবিদ্যালয়ে কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে ঘোষণা না করেই ব্যালট পেপার নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। ওই সময় চেয়ারম্যান-ইউপি সদস্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা কেন্দ্রটির দায়িত্বরত নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। এবং একপর্যায়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরবর্তীতে উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ভরিয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে গণনা শেষে ঘোষণা করতে দেরি করা হচ্ছিল। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন টুটুল স্বতন্ত্রভাবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোতাসিম বিল্লাসহ অন্যান্য প্রার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তারা তাদের শত শত কর্মী-সমর্থক ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যায় ওই কেন্দ্র ঘেরাও করে ভাঙচুর করেন। কেন্দ্রে থাকা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করা সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। সেখানে থাকা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে পুলিশ সদস্যরা ভোট কেন্দ্রের একটি কক্ষে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। পরে প্রায় তিন হাজার মানুষ ভোট কেন্দ্রের পাশে বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ, টিয়ার ও গুলি ছুঁড়ে। ওই সময়ও বিক্ষুব্ধ জনগণ পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে করতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে বিক্ষুব্ধ জনগণের। পরে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।

জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এদিকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী (মোটরসাইকেল) সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা এম ইদ্রিস আলী সাকিদারের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় আশেকপুর ইউনিয়নের রানীরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্বতন্ত্রপ্রার্থী এম ইদ্রিস আলী সাকিদার জানান, উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রতীক পাওয়ার পর রানীরহাট এলাকায় তিনি নির্বাচনী অফিস তৈরি করছিলেন। এমন সময় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ফিরোজ আলমের কর্মীরা হামলা চালিয়ে তার অফিস ভাঙচুর করে। কোনো নির্বাচনী অফিস ও পোস্টারও লাগাতে দেবে না বলে তারা হুমকি-ধামকি দেয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা মিথ্যা, বানোয়াট। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে।

শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: