নির্বাচনী বহরে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
আরাফাত হাসান, (মাদারীপুর) :
মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হায়দার কাজীর (আনারস প্রতীক) প্রচার-প্রচারনার বহরে অতর্কিত হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম আবুল হাওলাদার (মোটরসাইকেল প্রতীক) ও তার কর্মী সমর্থকরা। এই অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী হায়দার কাজী। শুক্রবার রাতে তার নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হায়দার কাজী অভিযোগ করে জানান, আজই আমরা প্রতীক পেয়েছি। প্রতীক পাওয়ার পর বিকেলে আমার ইউনিয়ন ঝাউদি এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড দিয়ে একটি মহরা দিচ্ছিলাম।মহরা শেষে ফেরার পথে তালতলা এলাকায় আসলে আগে থেকে অত পেতে থাকা চেয়ারম্যান আবুল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমার ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, ২৫টি মোটরসাইকেল ও মহরার একটি ট্রাক ভাঙচুর করে।এছাড়া ২০/২৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু আমাদের মেরেই ওরা শান্ত থাকেননি, যারা যারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন তাদেরও বাড়িঘরসহ বাজারের বেশ কয়েকটি দোকানপাট কুপিয়ে লুটপাট করেছে।
তিনি বলেন, আমার জনপ্রিয়তা দেখে এবং সিরাজুল ইসলাম আবুলের নিশ্চিত পরাজয় ভেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হবে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হায়দার কাজী নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন আগামী ২৮ নভেম্বর একটি অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবী জানান।
এদিকে এই হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আবুল হাওলাদার মুঠোফোনে জানান, হায়দার কাজী যেই অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন,টাকা দাখিলের পর থেকেই হায়দার কাজী প্রতিদিন শহর থেকে ৫০/৬০টি মোটরসাইকেল ভাড়া করে লোকজন নিয়ে পুরা ইউনিয়ন মহরা দেয়। আজ সন্ধ্যায় তালতলা আমার নির্বাচনী অফিসের সামনে দিয়ে মহরা দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় আচমকা তারা মহরার গাড়ি রোধ করে আমার নির্বাচনী অফিসে লাঠশোঠা নিয়ে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। পরে এলাকার লোকজন তাদের ধাওয়া করলে ৪/৫টি মোটরসাইকেল রেখে তারা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।