গণ পরিবহন ছাড়লেও চলছে না পণ্যবাহী ট্রাক
মোঃ জামাল হোসেন, (বেনাপোল) :
সরকার কর্তৃক গন পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করায় বাস মালিক সমিতি তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে রোববার সন্ধায় যাত্রীবাহী গন পরিবহন ছেড়েছে। কিন্ত ডিজেলের মূল্য পুনঃবিবেচনাসহ ৩ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করায় বেনাপোল থেকে সকল ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেনাপোল বন্দরে লোড আনলোড প্রক্রিয়াসহ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে। তবে অন্যান্য সময়ের চেয়ে ট্রাক ভাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ধর্মঘটের কারণে আমদানি পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহতের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
অভিযোগ রয়েছে, ট্রাক ও পরিবহন শ্রমিকরা বন্দরের আশে-পাশে অবস্থান করে পণ্য খালাস কার্যক্রম বাধা দিচ্ছে। বন্দর থেকে পণ্য লোড হলেও তা নিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে আছে। গন্তব্যে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে। ফলে বন্দরে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ যানজট। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান না হলে পণ্যজটের আশঙ্কা করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
জেলা বাস মালিক সমিতির সম্পাদক বাবলুর রহমান জানান, কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। সরকারের সাথে কেন্দ্রীয় বাস মালিক সমিতির আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ফল প্রুশু হওয়ায় আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার সন্ধা থেকেই সারা দেশে যাত্রীবাহী গন পরিবহন চলাচল শুরু করেছে।
বেনাপোল ট্রান্সপোটর্ মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজি জানান, ঢাকাস্থ ট্রাক, ট্রাক লরি ওনার্স এসোসিয়েশন আমাদেরকে জানিয়েছেন ডিজেলের মূল্য পূর্নবিবেচনাসহ ৩ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্তÍ কোন পণ্যবাহী ট্রাক রাস্তায় চলবে না। আমরা সে অনুয়ায়ী শুক্রবার থেকে কর্মবিরতী পালন করছি। বেনাপোল বন্দর থেকে পন্য লোড হচ্ছে। তবে ফেডারেশন থেকে কোন নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোন পণ্যবাহী ট্রাক বন্দর ছেড়ে যাবে না। তিন দফা দাবি হলো, ১. জালানি তেলের লিটার প্রতি যে ১৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে তা পুর্ণবিবেচনা করা। ২. যমুনা ও মুক্তাপুর সেতুর বর্ধিত টোল প্রত্যাহার। ৩. দেশের সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা গুলো পণ্য পরিবহন থেকে যে টোল নেয় তা বন্ধ করা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, বেনাপোল বন্দর থেকে সবচেয়ে বেশি শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল আমদানি হয়ে থাকে। ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল বন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের আমদানি পণ্য পরিবহন করতে পারছেন না। দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে শিল্প কলকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, পণ্যবাহী ট্রাক ধর্মঘটের কারনে বেনাপোল বন্দর থেকে কোন পণ্যবাহী ট্রাক ছেড়ে যাচ্ছে না। বন্দরে লোড আনলোড প্রক্রিয়াসহ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে।