শিরোনাম

South east bank ad

বাঁশঝাড়ে জন্ম নেওয়া সেই শিশুর ঠাঁই হলো শিক্ষকের ঘরে

 প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :

বগুড়ার ধুনটে বাঁশঝাড়ে জন্ম নেওয়া সেই নবজাতকের ঠাঁই হলো শফিকুল ইসলাম ও নুরুন্নাহার নামে এক শিক্ষক দম্পতির ঘরে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের কোলে তুলে দেওয়া হয় শিশুটিকে। শিক্ষক দম্পতির বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার কৃষ্ণগোবিন্দপুর গ্রামে।
মানব সন্তানের জন্ম কখনও ভীষণ নির্মমতার। কার কারণে পাগলির গর্ভে জন্ম। কি বা পরিচয়? এমন অনেক প্রশ্নবোধক চিহ্ন এই ফুটফুটে নবজাতকের কপালে। ঘটনাটি ১ নভেম্বর রাতের। বাঁশঝাড়ে পুত্র সন্তান জন্ম দেয় ভবঘুরে এক পাগলি। তার নাম পরিচয় আজও অজানা। এদিকে খবর পেয়ে নবজাতক ও তার মাকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ।

শিশুটির দায়িত্ব নিতে শফিকুল ইসলাম আবেদন করেন উপজেলায় শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে। পরে ১০ সদস্যের শিশু কল্যাণ বোর্ড আবেদন যাচাই বাছাই শেষে সোমবার শফিকুল ইসলাম দম্পত্তির হাতে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সন্তানটি দত্তক নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত।

শিশু সন্তানটিকে হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন ধুনট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত, ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসানুল হাছিব, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহসীন আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি গোলাম সোবহান ও ধুনট প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল আলম প্রমুখ।

এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, তাদের একটি অটিস্টিক সন্তান রয়েছে। তাই একটি সুস্থ সন্তানের আকাঙ্খা ছিল। শিশুটিকে দেখার পর দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড নবজাতকটিকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছে। পরবর্তীতে আদালতে আবেদন করে দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, অনেক চেষ্টা করেছি নবজাতক ও তার মায়ের নাম-ঠিকানা বের করার জন্য। কিন্তু সম্ভব হয়নি। তাই শিশুটিকে দেখভালের জন্য শিক্ষক দম্পতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: