হঠাৎ গণপরিবহন বন্ধে রাজশাহীতে জনদুর্ভোগ চরমে
আমজাদ হোসেন শিমুল, (রাজশাহী ব্যুরো) :
হঠাৎ করেই শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে গণপরিবহণ বন্ধ করে দেওয়ায় রাজশাহী থেকে দূরপাল্লার বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। দূরপাল্লার অনেক যাত্রী অগ্রিম টিকেট কেটেও হঠাৎ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গন্তব্যে পৌঁছতে না পারায় পড়েছেন বিপদে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ইমতিয়াজ নামে এক ব্যক্তি ঢাকার সাভারে একটি পোষাক কারখানায় চাকরি করেন। জরুরি প্রয়োজনে বুধবার দুই দিনের ছুটিতে বাড়ি আসেন। শনিবার সকাল থেকে তার অফিস করতে হবে। এজন্য শুক্রবার বেলা ১১টার শ্যামলী পরিবহনের তার টিকিট ছিল। কিন্তু কাউটারে আসার পর তার টিকিট ফেরত নেয়া হয়। ফলে বিকল্প পথে যাওয়র পথ খুঁজেন তিনি। একই অবস্থা আরও কয়েকজন যাত্রীর দেখা গেছে। শুধু তারাই নয়; পুরো রাজশাহীর শিরোইল বাস টার্মিনাল, কাটাখালি, বিনোদপুর, কাজলা, ভদ্রাসহ জেলার বেশ কিছু এলাকা সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় রাজশাহীতে ট্রেনেও পরিলকক্ষিত হয়েছে বাড়তি চাপ।
শিরোইল বাস টার্নিনালে যাত্রী মালিহা আফরিন নাইস জানান, তিনি টাইঙ্গাইলের ঘাটাইলে যাবেন। ৬৪০ টাকায় দুইজনের টিকিট কেটেছেন। রাতে হঠাৎ বাস বন্ধের কথা জানতে পারেন। এই জন্য সকালে টিকিট ফেরৎ দিতে আসলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাকে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা রাকিব উদ্দিন জানান, তিনি সরকারি চাকরি করেন। তিনি ছুটিতে ছিলেন। তার কর্মস্থল চট্টগ্রামে। শুক্রবার রাতে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু তিনি রাজশাহীতে এসে দেখেতে বাস বন্ধ। তবে তিনি ট্রেনের কোন টিকিট কাটেনি। ফলে কর্মস্থলে যোগদান নিয়ে সংঙ্কটে পড়েছেন তিনি।
রাজশাহী বিভাগীয় সকড় পরিবহন মালিক সমিতি সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বিপ্লব বলেন, হঠাৎ করে ডিজেলের দাম অসাভাবিক হারে বৃদ্ধি এবং এর সাথে সমন্বয় করে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি সুরাহা করা হয়নি। এ কারণে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার সকল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি চলছে। আমাদের প্রথম দাবি তেলের দাম কমানো। তবে দাম না কমানো হলেও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। এরপর সড়কে নামবে যানবাহন।