শিবগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে মা-ছেলের লড়াই
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মা-ছেলের লড়াই জমে ওঠেছে। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে সরস আলোচনায় মেতে ওঠেছেন। আবার অনেকেই মা-ছেলের প্রার্থী হওয়া নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন। কেন তারা প্রার্থী হলেন, নির্বাচনে কে জিতবে, কে হারবে ইত্যাদি। তবে মা-ছেলে নিজেদেরকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছেন না। ছেলেকে সহায়তা করার জন্য মা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন বলে কথা বলে জানা গেছে।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছেলের নাম জুলফিকার হাসান শাওন। তিনি আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। শাওন উপজেলার বিহার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তার মা খালেদা আক্তারও একই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। খালেদা ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।
এর আগে শাওনের বাবা প্রয়াত শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন চাঁন ও তার চাচা(বড় আব্বা) আফজাল হোসেন বিহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।
পরবর্তীসময়ে তার চাচাতো বড় ভাই শরিফুল ইসলাম শরীফ দুদফা নির্বাচন করে পরাজিত হন। এবার সেই পরিবার থেকেই প্রার্থী হয়েছেন জুলফিকার হাসান শাওন।
তরুণ যুবক জুলফিকার হাসান শাওন বলেন, বাবার সঙ্গে থেকে চেয়ারম্যানগিরি করতে দেখে ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল চেয়ারম্যান হবার। এজন্য অল্প বয়সেই প্রার্থী হয়েছি। তিনি বলেন, ‘আমার মা চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য নির্বাচন করছেন না। তিনি (মা) সকল ধরণের প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত রয়েছেন। শুধুমাত্র ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট বেশি রাখার জন্য আমরা এই কৌশল অবলম্বন করেছি।’
এ প্রসঙ্গে শাওনের মা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী খালেদা আক্তার বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি, কারণ আমার ছেলের যদি কোনো যাচাই-বাছায়ে সমস্যা হত তাহলে আমি নির্বাচনে থাকতাম। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে ছেলের কোনো সমস্যা হয়নি।’ কিন্তু তারপরে ‘আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েই গেছি। আমি তো কোনো প্রচার-প্রচারণা করছি না। আমার ছেলের জন্য আমি কাজ করছি।’
বর্তমান শাওন ও তার মা ছাড়াও বিহার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মহিদুল ইসলাম (নৌকা) এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগনেতা মতিউর রহমান মতিন (মোটর সাইকেল)।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, আগামী ১১ নভেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে উপজেলা ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৫০ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩৭ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৮২জনসহ মোট ৫৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।