ভাংচুর ও মালামাল লুট রাজাপুরের নারী ইউপি সদস্যসহ ২২ জনের নামে মামলা
মোঃ রাজু খান, (ঝালকাঠি) :
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় নৈকাঠি এলাকায় বসতঘর ভাংচুর করে মালামাল লুটের অভিযোগে রাজাপুরের নারী ইউপি সদস্য ইয়াসমিন আক্তার মুন্নি ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে কর্মরত বিউটিশিয়ান চন্দ্রিমা রিমুসহ ২২জনেন নামে মামলা দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি বাজার সংলগ্ন এলাকায় মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে জাহাঙ্গীর, নুরুজ্জামান ও জুয়েল নামে তিন জনকে আটক করে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে হঠাৎ করে উপজেলার সাতুরিয়া এলাকার মো. মিল্লাত হোসেন জোম্মাদারের মেয়ে ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে কর্মরত বিউটিশিয়ান চন্দ্রিমা রিমুর নেতৃত্বে রাজাপুর সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের সদস্য নাজমা ইয়াসমিন মুন্নি ও বাবুর্চি নবাব হোসেনের সহায়তায় ৩০/৩৫ জন নারীসহ এক থেকে দেড়শত ভাড়াটিয়া লোক হাতে দেশীয় অস্ত্র রামদা,লোহার রড়, হাতুড়ি ও লাঠি নিয়ে শহীদের বাড়িতে ঢুকে। এ সময় শহীদ, তার স্ত্রী রুমিছা আক্তার ও শ্বাশুরি মজিদা বেগমকে মারধর করে দড়ি দিয়ে বেধে রেখে। হামলাকারীরা বসত ঘর ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা সমস্ত মূল্যবান মালামাল লুট করে পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা আরও জানায়, যুদ্ধের সময় অনেক লুটপাটের কথা শুনেছি। কিন্তু এই স্বাধীন দেশে দিনের বেলায় এমন লুটপাটকে যুদ্ধের সময়কেও হার মানিয়েছে।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় চন্দ্রমা রিমু ও নারী ইউপি সদস্য মুন্নিসহ ২২জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামী গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।