সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচন ইভিএম নিয়ে কৌতুহল ও বিড়ম্বনা
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়ার সোনাতলা পৌরসভার নির্বাচন সুস্থ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত ভোটারদের সারিবদ্ধ লাইন ছিল দেখার মতো। বিশেষ করে নারী ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
সোনাতলা পৌরসভায় প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেওয়া নিয়ে ভোটারদের মাঝে কৌতুহল থাকলেও ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে নারী ভোটাররা।
এদিকে পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী একেএম সাকিল রেজা বাবলার জগ মার্কার পোলিং এজেন্ট সুজন মিয়া (৩৫)কে ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টির অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কানুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসনিমুজ্জামান বিষয়গুলো নিশ্চিত করে জানান, আটক সুজন মিয়া ভোট কেন্দ্রের শৃঙ্খলা নষ্ট করছিলেন। বারবার আইন না মেনে তিনি বুথে যাচ্ছিলেন। এজন্য তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কানুপুর ভোট কেন্দ্রের ভোটার মর্জিনা বেগম বলেন, ইভিএমএ কিভাবে ভোট হয় তা নিয়ে কৌতুহল ছিল। ভোট দিতে গিয়েও বিড়ম্বনায় পড়েছি। পরে ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা স্যারেরা বুঝিয়ে দিয়েছে।
কামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ভোটার জেসমিন আক্তার বলেন, ইভিএমএ ভোট দিয়ে ভাল লেগেছে। তবে ভোট দেওয়ার আগে পর্যন্ত মনের মধ্যে কৌতুহল ছিল।
সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন বলেন, ইভিএমএ ভোটাররা স্বতস্ফুতভাবে ভোট দিয়েছে। ইভিএমএ ভোট দিতে পারেনি এরকম কেউ অভিযোগ করেননি।
সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন, বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম নান্নুু আকন্দ, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্র্থী শাহিদুল বারী খাঁন রব্বানী ও বিএনপিদলীয় সাবেক এমপি ছেলে একেএম শাকিল রেজা বাবলা। এছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪০ জন প্রার্থী। ১১টি ভোটকেন্দ্রে ১০৫টি ইভিএম মেশিন দিয়ে ভোট নেওয়া হয়।