স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে থানায় মামলায় যুবক আটক
আব্দুর রহমান, (নেত্রকোনা) :
নেত্রকোনার মদনের পল্লীতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে তাপস বিশ্বাস (২৮) নামের এক হিন্দু যুবকের বাড়িতে অনশনে বসেছিল এক মুসলিম তরুণী (২১)। অবশেষে স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেয়ে ২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে তরুনী। তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন - উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের শিবাশ্রম গ্রামের সুধাংশ বিশ্বাসের ছেলে তাপস বিশ্বাস ও তার বোনের জামাই একই গ্রামের বিষু বিশ্বাসের ছেলে রঞ্জিত বিশ্বাস।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, তাপস বিশ্বাস গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় কাঁচা মালের ব্যবসা করায় দীর্ঘদিন সেখানে বসবাস করেন। প্রায় ৩ বছর আগে সেখানের একটি পোশাক শ্রমিক ওই তরুণীর সাথে নিজের ধর্মীয় পরিচয় গোপন রেখে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলেন তাপস বিশ্বাস । এক পর্যায়ে ধর্মের বিষয়টি তরুণী জানতে পারায় হুজুর ডেকে কালিমা পড়ে বিয়ে করে দুইজন। পরে গাজীপুর এলাকায় সেখানে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। তরুণী গর্ভবতী হলে বিভিন্ন প্রলোভনে গর্ভপাত করায় তাপস। প্রায় ৪ মাস আগে ওই তরুণীর জমিয়ে রাখা টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে নিজ বাড়ি মদন উপজেলায় চলে আসে তাপস বিশ্বাস। এ সব ঘটনা গোপন রেখে ১ মাস আগে হিন্দু ধর্মীয় মতে নেত্রকোনার দূর্গাপুরে আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করেন তাপস বিশ্বাস। জানতে পেরে ওই তরুনী ১০ অক্টোবর তাপস বিশ্বাসের বাড়িতে আসে। ঘটনাটি ধামা-চাপা দিতে তাপস বিশ্বাসের পরিবারের লোকজন তরুণীকে পাগল বলে মদন থানায় পাঠায়। পরে পুলিশ ওই তরুণীকে তার পরিবারের জিম্মায় দিয়ে দেয় । কিছু দিন যেতে না যেতেই তাপস বিশ্বাস মোবাইল ফোনে ওই তরুণীকে নিয়ে সংসার করার আশ্বাস দিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসে। পরে তা অস্বীকায় করায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন করলে তাপস বিশ্বাসে বোন জামাই তরুণীকে হত্যার হুমকি দেয়। সোমবার বিকেলে তাপস বিশ্বাসকে আটক করে মদন থানার পুলিশ। পরে রাতে তাপস ও তার বোন জামাইকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে তরুণী।
ওই তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা স্বীকার করে তাপস বিশ্বাস বলেন, আমি তাকে কাবিন করে বিয়ে করিনি।
এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, সোমবার রাতে মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় তাপস বিশ্বাসকে আটক করে মঙ্গলবার নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর সাথে তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।