স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীকে ফাঁসির আদেশ : অপর মামলায় একজনের কারাদন্ড
শেখ হেদায়েতুল্লাহ, (খুলনা)
খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের স্বামী রফিক শেখকে স্ত্রী মরিয়ম বেগম (২৫) কে হত্যার পর পুড়িয়ে লাশ গুমের মামলায় রফিককে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। বিচার কার্য শুরুর মাত্র ৯ কার্য দিবসের মধ্যে রায় ঘোষণা করেছেন খুলনার জেলা ও দায়রা জজ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মশিউর রহমান চৌধুরী । আজ রবিবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় মৃত্যুদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২০১ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদ-, ২৫ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ দেয়া হয়। মোঃ রফিক শেখ (৩৬) রূপসা উপজেলার নেহালপুর গ্রামের মৃত জাবেদ শেখের ছেলে।
এদিকে অপর এক আদালত অস্ত্র আইনে এক আসামীকে ১৭ বছর কারাদন্ড দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী শেখ এনামুল হক মামলার বরাত দিয়ে জানান, ২০২০ সালের ১২ আগস্ট মরিয়ম বেগম নিখোঁজ হন। সে ফকিরহাট উপজেলার মৃত আবু বকর শেখের কন্যা। এরপর ১৫ আগস্ট রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের জনৈক দিপক দাসের পান বরজের গর্ত থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মাথায় আঘাত করে হত্যার পর লাশের পরিচয় গোপন করতে শরীরে পেট্রোল আগুনে পুড়িয়ে ওই স্থানে ফেলে দেয়া হয়। এঘটনায় ১৬ আগস্ট নিহতের মা জালিমা বেগম বাদী হয়ে রূপসা থানায় মামলা দায়ের করেন । হত্যাকা-ের ঘটনায় রফিক শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহাবুদ্দিন গাজী ৩১ ডিসেম্বর মোঃ রফিক শেখকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
খুলনা মহানগরীতে অস্ত্র মামলায় নীল রতন হালদার নামের আসামীকে পৃথক দু'টি ধারায় ১৭ বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়। আজ রবিবার (৩১ অক্টোবর) খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এসএম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর রূপসা ব্রিজ এলাকা থেকে একটি শার্টারগান ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ নীল রতন হালদারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার খলসেখালী এলাকার সুকুমার হালদারের পুত্র। এ ঘটনায় এএসআই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন । তদন্ত কর্মকর্তা এস আই তাপস পাল ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।