রাজবাড়ীর প্রবীণ সাংবাদিক গনেশ মজুমদার আর নেই
খন্দকার রবিউল ইসলাম, (রাজবাড়ী) :
রাজবাড়ীর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাবেক রাজবাড়ী প্রতিনিধি প্রবীণ সাংবাদিক শ্যামল কুমার মজুমদার ওরফে গনেশ বার্ধক্য জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন।মত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
৩১ অক্টোবর রবিবার সকাল ৮টার দিকে বিনোদপুর ভাজনচালা তার নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করনে তিনি। মৃত্যু কালে তিনি এক ছেলে এক কন্যা সন্তান, স্ত্রী সহ বহুগুনাবলী রেখেগেছেন।আজ বিকেল ৩টায় রাজবাড়ী পৌর মহাশশ্মানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
তাঁর মৃত্যুতে রাজবাড়ী সাংবাদিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অনেক সাংবাদিকই গনেশ মজুমদারের মৃত্যু খবর জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। সাংবাদিকরা তাঁর প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। গনেশ মজুমদারের মৃত্যু খবর শুনে রাজনৈতিক নেতারাও শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকাতে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে অসুস্থ হলে ইত্তেফাক কর্তৃপক্ষ তাকে অব্যাহতি দিলে তিনি সাংবাদিকতা পেশা থেকে সরে যান। এছাড়াও তিনি রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্ট্রোক করে ২০১৩ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অসুস্থ ছিলেন। ২০১৩ সালে অসুস্থ হওয়ার কিছুদিন পর দৈনিক ইত্তেফাক কর্তৃপক্ষ তাকে অব্যাহতি দেয়। অসুস্থ অবস্থায় তিনি নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২০২০ সালে করোনার শুরুতে তিনি দ্বিতীয় দফা স্ট্রোক করে গুরুতর অসুস্থ হন। এর আগে তার প্রোস্টেট গ্লান্ডে ক্যান্সার ধরা পড়ে। মৃত্যুর পূর্বে তিনি কথা বলতে পারতেন না। কাউকে চিনতেও পারতেন না। শয্যাশায়ী থাকার কারণে তার শরীরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
শ্যামল কুমার মজুমদারের সহকর্মী দৈনিক মাতৃকণ্ঠ পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, শ্যামল কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের আইকন হতে পারে।তিনি তার পেশার দায়িত্ব পালনে কখনো অবহেলা করেনি। বরং নানা প্রতিকূলতার মাঝেও তিনি নিজের পেশার প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। কোন অন্যায়ের কাছে তাকে মাথা নত করতে কখনো দেখিনি।
শ্যামল কুমার মজুমদারের মৃত্যুতে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাডঃ খান মোঃ জহুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্দুল মতিন, সিনিয়র সাংকাদিক বাবু মল্লিক, সাংবাকি রবিউল ইসলাম খন্দকার (মজনু) বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রেসক্লাবে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং মরহুমের বিদেহী আত্নার শান্তি কামনা করেছেন।