শিরোনাম

South east bank ad

‘শাহিন একজন বিশ্বমানের পেস বোলার এবং সত্যিকারের ম্যাচ উইনার’

 প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপেক্ষ প্রথম আঘাত হানে পাকিস্তানের পেসার শাহিন আফ্রিদি। ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা আফ্রিদি পাকিস্তানি বোলিং কারখানার নতুন বাঁহাতি সংস্করণ।
ওয়াসিম আকরাম থেকে শুরু করে মোহাম্মদ আমেরসহ সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন ওহাব রিয়াজ ও মোহাম্মদ ইরফানরা। আর গত রোববার ভারতের বিপক্ষে আগ্রাসী বোলিংয়ের মাধ্যমে ওই তালিকায় তারকা দ্যুতি ছড়িয়ে আবির্ভুত হলেন শাহিন আফ্রিদি।
১০ নম্বর জার্সি পড়ে পাকিস্তানের সাদা বলের আইকনিক তারকা হিসেবে ২১ বছর বয়সি এ তারকার অসাধারণ ফাস্ট বোলিং ভারতীয় স্বপ্নকে ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। তার ৩১ রানে ৩ উইকেট শিকারের কারণে বিশ্বকাপে ১৩ বারের প্রচেস্টায় প্রথম ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয় লাভ করে পাকিস্তান।
এমনকি শাহিনের শিকার হয়ে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়া ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিও এ বোলারের প্রশংসা করেছেন। যদিও ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে পরাজিত হয়েছে ভারত। কোহলি বলেন, ‘ টি-২০ ক্রিকেটে নতুন বলে উইকেট নিতে হলে আপনাকে বলের সদ্ব্যবহার করতে হবে। যেটি তিনি করেছেন। তিনি নতুন বলেই আমাদের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে দিয়েছেন।’
অসাধারন একটি ইয়র্কার বল দিয়ে তিনি রোহিত শর্মাকে ব্যাকফুটে গিয়ে ব্যাট চালাতে বাধ্য করেন এবং এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন। আরকেটি বল সুইপ করে ভেঙ্গে দেয় কেএল রাহুলের উইকেট। অথচ টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে গড় রানে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়া এ ক্রিকেটারের স্টাম্প ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনা বিরল। নিয়ন্ত্রিত বোলিং দিয়ে কোহলিকেও ফিরিয়ে দেন শাহিন আফ্রিদি।


সত্যিকারের ম্যাচ উইনার :
ওভালে অনুষ্ঠিত ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পরপর রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ানকে ফিরিয়ে দিয়ে আলোড়ন সৃস্টি করেছিলেন সতীর্থ বাঁ হাতি ফাস্ট বোলার আমির। বড় মঞ্চে এরই পুনরাবৃত্তি ঘটালেন শাহিন।
পাক-আফগান সীমান্তবর্তী খাইবার পাসে বড় হওয়া ৮ ভাইয়ের একজন শাহিন। তার আরেক ভাই রিয়াজ পাকিস্তানের হয়ে একটি টেস্ট খেলেই এ ফাস্ট বোলারকে অনুপ্রানীত করেছেন। টেপ বল খেলে উঠে আসা শাহিনকেও আর পেছনে ফিরতে হয়নি।
আইসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহিন বলেন, ‘তিনি (রিয়াজ) টেলিফোনে সব সময় আমার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। সফরে গেলেও এর ব্যতিক্রম হয় না। আসলে তিনিই আমার প্রথম কোচ।’
২০১৮ সালে অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ দিয়ে ডিগ্রি অর্জন করা শাহিন প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে হৈচৈ ফেলে দেন। পত্রিকার শিরোনাম হন ঘরোয়া ক্রিকেটে মাত্র ৩৯ রানে ৮ উইকট শিকার করে। ২০১৮ সালে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দারের হয়ে খেলার সুযোগ পান শাহিন। সেখানেই তিনি প্রথম মুখোমুখি হন তার মিতা শহিদ আফ্রিদির।
ক্রিকইনফো ডট কমকে তিনি বলেন, ‘ পিএসএলে প্রথম বলেই তিনি আমাকে ছক্কা মারেন। কিন্তু পরের বলেই আমি তাকে আউট করে দেই। ওই ঘটনায় আমি দারুন আনন্দ পেয়েছিলাম।’
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্টে অভিষেক ঘটে শাহিন আফ্রিদির। যদিও ম্যাচটিতে হেরে যায় পাকিস্তান। তবে এ পর্যন্ত ১৯টি টেস্টে ৭৬ উইকেট শিকার করেছেন শাহিন। যার গড় ২৫-এর বেশি। তবে সেরা সফলতা পেয়েছেন এ বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ৯৪ রানে ১০ উইকেট সংগ্রহ করেন তিনি।
সব ফর্মেটেই সেরা দক্ষতা প্রদর্শনকারী এ পাকিস্তানি পেসার ২০১৯ সালে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে গত বছর হ্যাম্পশায়ারের হয়ে টি-২০ ক্রিকেটে মিডলসেক্সের বিপক্ষে ১৯ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। তন্মধ্যে পরপর ৪ বলে ছিল ৪ উইকেট।
২০২২ সালের ইংলিশ কাউন্টি মৌসুমে জন্য মিডলসেক্স যে তাকে কিনে নিয়েছে সেটি বিষ্ময়কর কিছু নয়। ক্লাবটির প্রধান নির্বাহি এন্ড্রু ক্রনিশ বলেন, ‘ শাহিন একজন বিশ্বমানের পেস বোলার এবং সত্যিকারের ম্যাচ উইনার।’

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: