নন্দীগ্রামে হাইওয়ে পুলিশ কনস্টেবল প্রত্যাহার!
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়ার নন্দীগ্রামে কুন্দারহাট হাইওয়ে এক পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কনস্টেবল সাদা পোশাকে থেকে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক জড়িয়ে পড়ায় তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম প্রত্যাহারের বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট বাজারে টুকু মিয়ার হোটেলে সাদা (সিভিল) পোশাকে বসেছিলেন কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলী। এসময় সেখানে বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলার পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা হচ্ছিল। তখন পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এনিয়ে ভাটগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জুলফিকার আলীর ছেলে আহম্মেদ আলীসহ স্থানীয় লোকজন তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায় কনস্টেবল হাসান আলী মুসলমানদের ইহুদি বলে মন্তব্য করেন। তখন স্থানীয় লোকজন আরো উত্তেজিত হয়ে উঠে। পরে হাসান হাইওয়ে থানায় ফোন করলে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
কনস্টেবল হাসান আলী বলেন, হোটেলে কিছু লোকজন সাম্প্রদায়িক আলোচনা করছিল। এসময় আমিও সাদা পোশাকে চা খেতে গিয়েছিলাম। আমি মুসলমানদের ইহুদি বলেনি। তারা পুলিশকে গালিগালাজ করে, তার প্রতিবাদ করেছি। এনিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। পরদিন শনিবার (১৬ অক্টোবর) আমাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
জানতে চাইলে কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় কুন্দারহাট বাজারে তুচ্ছ ঘটনা ঘটেছে। সিভিল পোশাকে থাকায় কনস্টেবল হাসানকে তারা চিনতে পারেনি। হাসানকে প্রশাসনিক কারণে প্রত্যাহারের করা হয়েছে।