গরুর গায়ে ‘আল্লাহ’ সদৃশ লেখা দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়!
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়ার আদমদীঘিতে একটি বিদেশি জাতের গরুর গায়ে ‘আল্লাহ’ সাদৃশ লেখা দেখতে পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের ছোট আখিড়া গ্রামের বাসিন্দা ও গরুর মালিক লিটন হোসেন এমনটি দাবি করেন। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে গরুর গায়ে ‘আল্লাহ’ লেখা দেখতে লিটনের বাড়িতে উৎসুক জনতা ভিড় শুরু করে। তবে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার দাবি, সাধারনত গরুর গায়ের রঙ একদিনে এভাবে বদলানো সম্ভব নয়। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।
এ ব্যাপারে গরু ব্যবসায়ী লিটন হোসেন জানান, বাড়ির একপ্রান্তে গরুর সেড তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে গরু পালন করে আসছেন। খামারের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন গ্রাম থেকে নানা প্রজাতির গরু সংগ্রহ করে আশপাশের হাটে বিক্রি করেন। শনিবার (১৬ অক্টোবর) নওগাঁ সদরের ইকরতাঁরা গ্রামের একটি খামার থেকে তিনি দেশি-বিদেশী মিলে বিভিন্ন প্রজাতির মোট ১২টি গরু কিনে বাড়িতে নিয়ে আসেন। রবিবার সেসব গরুগুলোকে গোসল করানোর জন্য খামার থেকে বের করেন। গোসল করানোর এক পর্যায়ে তিনি বিদেশি (জার্সি) জাতের একটি গরুর ডান পাশে ‘আল্লাহ’ সাদৃশ লেখা দেখতে পান।
তিনি দাবি করেন, গরুগুলো কিনে বাড়িতে আনার পর ওই গরুটির শরীরে কোন লেখা ছিলো না। রবিবার সকলে গোসল করাতে গিয়ে গরুর গায়ে ‘আল্লাহ’ সাদৃশ লেখা দেখতে পাই। ভেবেছিলাম গরুটিকে গোসল করানোর পরে হয়তো লেখাটি উঠে যাবে। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত লেখাটি রয়ে গেছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে গরুটির গায়ে ‘আল্লাহ’ লেখা দেখতে দলে দলে মানুষ বাড়িতে এসে ভিড় করছেন।
উপজেলার সান্দিড়া হাফেজিয়া ও ক্বওমী মাদরাসার শিক্ষক হায়েজ আবু রায়হান জানান, আগে কোরবানির মাংসে ‘আল্লাহু’ সাদৃশ লেখা দেখতে পাওয়া যেতো। কিন্তু গরুর গায়ে ‘আল্লাহ’ সাদৃশ লেখা দেখার খবর এর আগে শুনিনি। বিষয়টি জানার পর আমি হতবাক হয়েছি। এটা আল্লাহ পাকের একটি নিদর্শন বা কুদরত বলা যেতে পারে। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে হেদায়েত দিতে মাঝে মধ্যে এমন বিস্ময় সৃষ্টি করে থাকেন। এ থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুন্নাহার বলেন, একদিনে গরুর গায়ের রঙ এভাবে বদলানো সম্ভব হয় না। বিষয়টি জানার পর অবাক হয়েছি। তবে আল্লাহ চাইলে সবই সম্ভব। তারপরও সরেজমিনে গিয়ে গরুটি পরিক্ষা-নিরিক্ষা করলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।