বরগুনার অগ্নিঝড়া ৭১ এখন বিলবোর্ডের দেয়াল
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :
বরগুনার টাউনহলে অবস্থিত অগ্নিঝরা ৭১ ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পরিচিতি বিলবোর্ডে সয়লাব করে রেখেছে। কেবল অগ্নিঝরা ৭১ ই নয়, শহরের বিভিন্ন গোলচত্বরে এভাবেই টাঙ্গিয়ে রাখা হয়েছে বিজ্ঞাপনের সহায়ক ছোট-বড় ফেস্টুন, সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড।
সভা সেমিনার করতে এ ধরনের ছোট-বড় বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড টাঙানো হলেও নামানোটা যেন এক মহামিলনের অভিপ্রায়। এ নিয়ে এর আগেও নিউজ করা হয়েছে বিডি ফিনান্সিয়ালে।
বরগুনা পৌর মেয়রের সাক্ষাৎকারে জানা গেছে তিনি অতি শীঘ্রই সাইনবোর্ড কিংবা বিলবোর্ড অপসরণের ব্যবস্থা নিবেন। এমন তথ্য জানিয়েছিলেন যুবলীগের বর্ধিত সভার এক সপ্তাহ পরে। দীর্ঘ এক মাসেও নেয়া হয়নি সাইন বোর্ড ও বিলবোর্ড অপসারণের কোন ধরনের ব্যবস্থা।
বরগুনা শহরে বসবাসরত একাধিক নাগরিক বলেন- এ শহরটি এখন রাজনৈতিক, চিকিৎসক ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচয় বহনে বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ডের শহর হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের বিভিন্ন গোল চত্বর ও বড় বড় গাছের সাথে প্যারাগ মেরে টাঙিয়ে রাখা হয়েছে এসব ফেস্টুন, বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড।
এতে যেমন রাস্তায় গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে তেমনি সৌন্দর্য হারাচ্ছে অগ্নিঝরা একাত্তরের মতো শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থিত গোলচত্বরের সৌন্দর্যমন্ডিত স্থাপনা।
সমাজবিদ ও সচেতন একটি মহল বলছেন- গোল চত্বরে বসানো হয়েছে নানা ধরনের স্থাপনা। এতে করে সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি যাতায়াতে চলমান গাড়ির গতি কমানোর একটি ভিন্ন পন্থা। একপাশ থেকে অন্য পাশ খুব সহজেই দেখা যায়। কিন্তু বিলবোর্ড সাইনবোর্ড ও ফেস্টুন এই গোলচত্বর গুলোকে ঘিরে রেখেছে। এতে করে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে পথচারী ও গাড়ি চালকরা।
তাই পৌর কর্তৃপক্ষকে এবিষয়টি অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান এ সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে বরগুনা পৌর মেয়র এডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ জানান- আমরা অতি শীঘ্রই সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ও ফেস্টুন অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিভিন্ন কাজের ব্যস্ততায় অপসারণের কাজটি পিছিয়ে রয়েছে। তবে বরগুনা শহরকে তার নিজস্ব সৌন্দর্য ফিরিয়ে দিতে আমরা পৌরসভা থেকে নানামুখী কর্মকাণ্ড হাতে নিয়েছি।