চলনবিলে তিন পাখি শিকারির জেল-জরিমানা
মো: রবিউল ইসলাম, (নাটোর):
নাটোরের সিংড়া চলনবিলে শিকারির কিল্লা ঘরের ফাঁদ থেকে রক্ষা পেয়ে বকসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১০১টি পাখি নতুন জীবন পেল।
সোমবার (১১ অক্টোবর) ভোরে পরিবেশ কর্মী সাইফুল ইসলাম ও হাসান ইমামের নেতৃত্বে বিয়াস ও ঠেঙ্গাপাকুরিয়া বিলে অভিযানে যান চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা। প্রায় ৩ কিলোমিটার কাঁদাপানি মাড়িয়ে ধানক্ষেত থেকে পাখিসহ ৩জন শিকারিকে আটক করে বিয়াস বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করেন পরিবেশকর্মীরা।
পরে সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: রকিবুল হাসন তিন শিকারিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে প্রত্যেককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
উদ্ধারকৃত পাখিগুলো সকাল সাড়ে ১০টায় চলনবিল গেট এলাকার একটি পাখি কলোনীতে অবমুক্ত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি হাসান ইমাম, সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী জুলহাস কায়েম, খান মো. শারফুল ইসলাম খোকন, জুবায়ের হক, আবু বকর সিদ্দিক, আবু কাহার প্রমূখ।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্ষার শেষ ভাগে চলনবিলে মাছের সাথে পাখির আনাগোনা বেড়ে গেছে। আর সেই সাথে কিছু লোভী পাখি শিকারি বিলের ধানক্ষেতে কলা-খেজুরপাতা দিয়ে বিশেষ ভাবে তৈরি কিল্লা ঘরে শত শত পাখি শিকারে মেতে উঠেছে।
সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চলনবিলের বিয়াস ও ঠেঙ্গাপাকুরিয়া থেকে শতাধিক পাখি সহ ৩জনকে আটক করা হয়। ধ্বংস করা হয় ৫টি কিল্লা ঘর। আটককৃতরা হলেন পাশবর্তী তাড়াশ উপজেলার পলাশী গ্রামের শাহাদৎ হোসেন (৪০), মহাতাব প্রামাণিক (৪৫) এবং দিঘরিয়া গ্রামের নাজমুল ইসলাম (৩৫)।