সাংবাদিক বিপুল নিহতের পাঁচ বছর পর হত্যা মামলা
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়ার নন্দীগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুল নিহতের পাঁচ বছর পর হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিপুলের সহকর্মী আমিনুল ইসলাম জুয়েলসহ ৮ জনকে আসামী করে বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন রফিকুল ইসলাম। রফিকুল ইসলাম সাংবাদিক বিপুলের ছোট ভাই ও উপজেলার বর্ষণ গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে।
গতকাল রবিবার দুপুরে নন্দীগ্রাম থানা ওসি আবুল কালাম আজাদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। আদালতের আদেশে গেল ২৯ সেপ্টেম্বর নন্দীগ্রাম থানার মামলাটি (নং ১৮) রেকর্ড করা হয়।
জানা গেছে, নিহতের পাঁচ বছর পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে বগুড়ার আদালতে ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন বিপুলের ছোটভাই রফিকুল ইসলাম। আদালতের আদেশে গেল ২৯ সেপ্টেম্বর মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। সাংবাদিক বিপুলের সহকর্মী আমিনুল ইসলাম জুয়েলকে প্রধান আসামী করে ৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। নিহত সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুল দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার কর্মরত ছিলেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৬ সালের ১৮ জুন বিকেলে বিপুলের মোটরসাইকেলে উঠেন প্রধান আসামী আমিনুল ইসলাম জুয়েল। নন্দীগ্রাম আসার পথে বরিন্দা পাগরাপাড়া এলাকায় বিপুলকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেছেন থানার এসআই শাহ সুলতান হুমায়ুন।
মামলার স্বাক্ষী নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, বিতর্কিত করতেই একটি পক্ষের প্ররোচনায় আমাকে মামলার স্বাক্ষী করা হয়েছে। সাংবাদিক বিপুল যেখানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হন। দুর্ঘটনাস্থলে এমপি-প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছিলেন।
এবিষয়ে সেই সময়ে কর্মরত নন্দীগ্রাম থানার সাবেক ওসি ও বর্তমানে বগুড়া সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাসান শামীম ইকবাল বলেন, সাংবাদিক বিপুলের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। সে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। পুনাইল সীমানার কিছুটা দূরে একটি ট্রাক্টর পাশ-কাটাতে গিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। তার বিরুদ্ধে ইউডি মামলা করা হয়েছিল। তবে সে সময় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় এবং তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাংবাদিক বিপুলের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।
এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। সাংবাদিক বিপুলের লাশ উত্তোলনের নির্দেশনা দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত হলে যে কোনো দিন লাশ উত্তোলন করা হবে।