শিরোনাম

South east bank ad

কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া বাজারে নদী ভাঙ্গনে গ্রাস করলো ২০ দোকান

 প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মেহের মামুন, (গোপালগঞ্জ) :

গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানীতে শুক্রবার মাত্র তিন ঘন্টার মধ্যে মধুমতি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ব্যবসায়ীদের মালামালসহ ২০টি দোকান। আরো ২০/২২টি দোকানে ফাটল ধরেছে হুমকির মুখে বাজারের কয়েক শত দোকান। এতে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জানাগেছে, শুক্রবার ভোর রাতে কাশিয়ানী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভাটিয়পাড়া বাজারের নদী শাষন বাধঁ ভেঙ্গে হঠাৎ করে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় ২০টি দোকান। ভোর রাতে হঠাৎ করে নদী শাষনে ফাটল ধরে। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই ব্যবসায়ীদের মালামাল ও গুদামের পাটসহ ২০ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, মসজিদের মুয়াজিন বাজার মসজিদে আজান দিতে এসে প্রথমেই দেখে বাজারের পশ্চিম পার্শ্বের মধুমতি নদীর তীরে
অনেকগুলি দোকান নেই। দোকানগুলি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বাজারের ব্যাবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানায়, সকালে বাজারে এসে দেখি আমাদের দোকানপাট নেই। মিষ্টি ব্যবসায়ী শ্বশান বিশ্বাস জানায়, রাতে
বেচাকেনা করে দোকানে তালা দিয়ে বাড়ি গিয়েছি। সকালে দোকান খুলতে বাজারে এসে দেখি আমার দোকানসহ আশেপাশের দোকান গুলি নেই। সকল দোকান মধূমতি নদীর কারাল গ্রাসে চলে গেছে। মুদি ব্যবসায়ী আলতাব চৌধুরী একই ভাবে তার ভাগ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনার বনর্না দিতে গিয়ে অঝরে চোখের জল ফেলেন। তারা জানায় আগে কোন ধরনের ফাটল দেখেনি তারা এখানে নদী শাষনের কাজ করা ছিলো। এসব ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল পর্যন্ত বের করে নেবার সুুযোগ পর্যন্ত পায়নি। তাদের ভাগ্য নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।

বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, এ পযর্ন্ত জাকির হোসেন, শ্বশান বিশ্বাস, আলতাব চৌধূরী, আওলাদ হোসেন, জিয়া, হায়দার আজাদ, হারুনার রশিদ, মিলন, মিনাল, সোহেল, হিরোণ, শ্যামল সাহা, রশিদ, রমিজ, রনি সাহা, জিয়াউর রহমান, সফিকুল ইসলাম, তারা মিয়া, হায়দার হোসেন, শামীম
কাজির দোকানসহ ২০টি দোকান বিলীন হয়েছে। আরো বিশটি দোকান ফাটল ধরেছে। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভাটিয়াপাড়া
বাজারটির আরো কয়েকশত দোকান হুমকীতে রয়েছে। দ্রুত ব্যাবস্থা না নিলে নদী গর্ভে বিলীর হয়ে যেতে পারে সম্পূর্ণ বাজার।
খবর পেয়ে খুব ভোরেই উপজেলা নিবার্হী অফিসার রথীন্দ্রনাথ রায়, অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রায়হান, ইন্সেপেক্টর ফিরোজ আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী ফইজুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌছাঁন। তারা ভাঙ্গন ঠেকাতে জিয়োব্যাগ নদীতে ফেলার চেষ্টা করছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিয়ো ব্যাগ ফেলানোর চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার রথীন্দ্র নাথ রায় জানান, দুই কোটি টাকার বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ভাঙ্গন রোধে আমরা দ্রুদ জিয়ো
ব্যাগ ফেলার চেষ্টা করছি যাতে বাজার টির বাকি অংশ রক্ষা করা যায়।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: