ড্রাগন চাষে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বি হওয়ার সম্ভাবনা
আমিনুল ইসলাম, (চরফ্যাসন) :
ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ভাসানচর এলাকায় বহুমুখী পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ বিদেশী ফল ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন দুই সহোদর রাসেল ও মামুন পন্ডিত৷
দক্ষিণ আমেরিকার গভীর অরণ্যে এই ফলের জন্ম হলেও বর্তমানে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, চীন ও ভারতসহ দিন দিন পৃথিবীজুড়ে এই ফলের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। বিদেশের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের মতো শখের বশে চফ্যাসনে এই ড্রাগন ফল চাষ করেছেন তারা৷ ইউটিউব এবং অনেকের ছাদ বাগানে চাষের পদ্ধতি দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ড্রাগন ফল চাষ করেছেন বলে জানান মামুন পন্ডিত৷
বুধবার (৬ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাকটাস গাছের মতো দেখতে ড্রাগনের সবুজ গাছগুলো বেড়ে ইতোমধ্যে সিমেন্টের খুঁটির মাথা ছুঁই ছুঁই করছে। ড্রাগন চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দেড় বছরেই ড্রাগনের চারাগুলো বেশ পরিপক্ব হয়ে ফুল আর ফলে ভরেগেছে খামার৷ জানা যায়, প্রতিটি ড্রাগন গাছ বিশ বছর পর্যন্ত ফল দিয়ে থাকে। প্রতিটি ফলের ওজন হয় ২০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত৷ বর্তমান বাজারের আলোকে প্রতি কেজি ড্রাগন ফল ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি কারা যায়৷
চরফ্যাসন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার জানান, এ এলাকার মাটি এবং আবহাওয়া, ড্রাগন চাষের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায়, কৃষিতে ড্রাগন চাষে, নতুন সম্ভাবনার সূর্য উদয় হতে পারে৷ স্থানীয়দের মতে, চরফ্যাসন উপজেলার বেকার যুবক, এই ড্রাগন চাষ থেকে শিক্ষা নিয়ে, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি, নিজের উপজেলায় ড্রাগন চাষের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে, কৃষিক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখতে পারে৷