আনোয়ারায় কলেজ ছাত্র মাসুমের মৃত্যু নিয়ে রহস্য
জাহিদ হাসান হৃদয়, (আনোয়ারা) :
চট্টগ্রামের আনোয়ারা সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মাসুম (১৯) এর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।
রবিবার (৪ অক্টোবর) পৌণে ২টার দিকে উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের ইছামতি ব্রীজের উত্তর পাশে বাঁশ ঝাড় থেকে মাসুমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, নিহত মাসুম উপজেলার ৯নং পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈখাইন গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডে নসিমের বাড়ির মোঃ ইউছুপের ছেলে। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজী মোস্তাক কলনীতে ভাড়া বাসায় থাকতো।
থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত দেড় টার দিকে খবর পেয়ে চাতরী ইউনিয়নের ইছামতী ব্রীজের উত্তর পাশের বাঁশঝাড় থেকে মাসুমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে নিহত মাসুমের পিতা ইউসুফ তার ছেলের মৃত্যু হত্যাকাণ্ড দাবি করে বলেন , আমার ছেলের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিহ্ন দেখে মনে হচ্ছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা পরিকল্পিত ভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমার ছেলের সাথে এলাকার সাগর মেম্বারের ছেলে দীপ্ত দত্তের সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব রয়েছে। গতরাত ১০টার ৪০ এর দিকে সে ব্যানার টাঙ্গানোর কথা বলে মোটরসাইকেলের পিছনে করে আমার ছেলেকে নিয়ে যায়। তারপর ১টা ৪৫দিকে ওসি তদন্ত সৈয়দ ওমর ফোন দিয়ে আমাকে জানায় আপনার ছোট ছেলের লাশ ইছামতী খালের উত্তরে বাঁশের চিপায় পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে সম্ভবত তার বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়েছে। আমি সেটা বিশ্বাস করিনা । আমার ছেলেটা হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীরা। তারা এ ঘটনায় সুষ্ঠ ততন্তপূর্বক জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলার সামনে বিক্ষোভ করেন।
এবিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, খবর পেয়ে রাতে লাশটি উদ্ধার করেছি। ধারণা করা হচ্ছে সে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। তবে সঠিক বিষয়টি নিশ্চিত করতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।