কৃষকের সেরা হাসির দিন ছিল রবিবার
মো: আব্দুস ছাত্তার, (ফুলবাড়িয়া) :
ভাদ্র ও আশ্বিন মাসের সীমাহীন প্রখরতায় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার উঁচু এলাকায় পুড়ছিল কৃষকের আমন ফসল। সাথে ইঁদুরের প্রকোপও বেড়ে গিয়েছিল। কোনভাবেই সামাল দেওয়া যাচ্চিল না দানবদের। হঠাৎ রবিবার সকাল থেকে বৃষ্টির আভাস বেলা ১২টায় প্রচন্ডবেগে বাতাস সাথে বৃষ্টি, ফুঁটে উঠে কৃষকের মুখে হাসি, বেঁচে গেল কাঠাপ্রতি ১শ টাকা সেচ ভাড়া।
জানা যায়, ফুলবাড়িয়া উপজেলায় নিঁচু এলাকা নেই বললেই চলে। এখানকার প্রায় কৃষকেরা ৩/৪টি ফসল উত্তোলন করে থাকে। মৌসুমের শুরুতে তারা আমন ধান রোপন করেছে। হাইব্রিড ধানের প্রতি কৃষকের আগ্রহ অনেক বেশি। মাঠ ভরা সবুজ ফসল দেখে কৃষকের আনন্দের শেষ নেই। কিন্তু ভাদ্র ও আশি^ন মাসের সিংহভাগ চলে গেলেও দু:চিন্তায় ছিলেন কৃষক। বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ মালিকদের দ্বারস্থ হওয়া শুরু করেন কৃষকরা। তার জন্য গুনতে হচ্ছে কাঠাপ্রতি ১শ টাকা। টাকা অগ্রিম দিলেও পানি মিলছে না, কারণ সেখানেও সিরিয়াল। প্রখর রোদ, সেচ, ইঁদুরের তান্ডব সব মিলিয়ে কৃষকের নাভিশ্বাসের সময় সারাদিনের মুষলধারের বৃষ্টি সাময়িক কষ্ট হলেও এ বছর কৃষকের সেরা হাসির দিন ছিল রবিবার।
বালিয়ানের মো. জাকির হোসেন জানান, মাঠ ভরা ফসল কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় মাটি সাদা হয়ে গেছে। সেচ মালিকদের কাঠাপ্রতি ১শ টাকা দিয়েছি। তাও সেখানে সিরিয়াল। আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি হয়েছে এহন আর কোন সমস্যা নেই।
কৃষক আলা উদ্দিন বলেন, ড্রেইন না থাকায় ক্ষেতে পানি উঠে না, সেলু মালিকদের ১শ টাকা করে দিয়ে ফিতা পাইপ দিয়ে বিল থেকে পানি এনে জমিতে দিতে হয়েছে। তারপরও কৃষক চায় ফসল। কিন্তু আজকের বৃষ্টিতে মানুষের অনেক উপকার হয়েছে, যা বলে শেষ করা যাবে না।