পঞ্চগড়ে নিত্যপণ্যের চড়া দামে নিম্নআয়ের মানুষের মাথায় হাত
মোঃ লিহাজ উদ্দিন, (পঞ্চগড়) :
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষের মাথায় হাত উঠছে। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে জীবনযাত্রার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। একটি পরিবার কিভাবে তাদের দৈনন্দিন জীবন জীবিকা নির্বাহ করবে তা নির্ভর করে তাদের আয়, চাহিদা এবং দ্রব্যমূল্যের ওপর। প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের মূল্য যখন সহনীয় পর্যায়ে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, তখন তাদের জীবন কাটে স্বস্তিতে। অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যখন সাধারণ মানুষের আর্থিক সঙ্গতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যায়, তখন দরিদ্র এবং অতিদরিদ্র পরিবারে শুরু হয় অশান্তি। জনজীবনে নেমে আসে কষ্টের ছায়া। দৈনন্দিন জীবনে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন চাল, ডাল, চিনি, তেল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ইত্যাদি। নিত্যদিনের এসব প্রয়োজনীয় দ্রব্য পাল্লা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম।
গতকাল শুক্রবার পঞ্চগড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিনের ব্যবধানে মসুরডাল প্রতিকেজি ৬০ টাকা, দাম বেড়ে ১০০ টাকা, চিনি কেজি ৬০ টাকা দাম বেড়ে ৮৫ টাকা ,সরিষা তেল ২৫০ গ্রামের বোতলে ৩২ টাকা থেকে ৫০ টাকা, কাপড় কাঁচা সাবান ৩৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা, সয়াবিন তেল দাম বেড়ে ১৫৫-১৬০ টাকায় । এদিকে থেমে নেই সবজির দাম প্রতিকেজি লালশাক ৪০, মুলা ৫০, বরবটি ৫০, ঢ়েঁড়স ৫০, করলা ৪০, কুমড়া ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাড়ছে ডিম ও মুরগির মাংসও।
দিনমুজুর তরিকুল ইসলাম ও শহিদুল হক ক্রেতা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম দিন দিন যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের। এভাবে চলতে থাকলে জীবনে নেমে আসবে চরম দূর্বিসহ। ক্রেতারা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং না করার কারণকেই দায়ী করছে দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির। ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, মসুরডাল, চিনি, ভোজ্যতেলের দাম অনেক বেশি। এই পণ্যের দাম যাতে ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসে কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান তিনি।