শিরোনাম

South east bank ad

‘আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাবো?’

 প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

কায়সার সামির, (মুন্সীগঞ্জ) :

জন্ম সনদ অনুযায়ী মো. জুলহাস শেষের জন্ম ১৯৩৩ সালে। সে হিসাবে তার বয়স ৮৮ বছর। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্ম ১৯৭৩ সালে। এতে বিপাকে পড়েছেন তিনি। ৮৮ বছর হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রের কারণে এখনো বয়স্ক ভাতা পায়নি। এর সমাধানে গিয়েছে সকল দপ্তরে। কিন্তু তাকে কোনো সমাধান মিলেনি।

মো. জুলহাস শেখ লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়েনের ৫নং ওয়ার্ডের ধারারহাট গ্রামের বাসিন্দা। এখানে একমাত্র ছেলে মো. সাইদুল ইসলামের সাথে থাকেন তিনি। জানা গেছে, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বাবা জুলহাস ও ছেলে সাইদুলের জন্ম সাল একই দিন অর্থাৎ ১৫ জুলাই ১৯৭৩ সাল। এক বছরে বাবা ছেলের জন্ম নিয়ে সাধারণ মানুষের রয়েছে নানান প্রশ্ন। তারা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের উদাসিনতার ফলে সাধারণ মানুষ নানান সমস্যায় পড়ছে। তারা ভুল করবে আর এর মাশুল দিতে হবে আমাদের। এটা খুব কষ্টের।

ভুক্তভোগী মো. জুলহাস শেষ বলেন, ‘কত মানুষের কাছে গেলাম। কত মানুষ আশ্বাস দিল। কোন লাভ হয়নি। তিনি আরো বলেন, আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাব’?

ছেলের স্ত্রী সেলিনা বেগম জানান, শ্বশুরের কাগজ পত্র ঠিক করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদে একাধিকবার গিয়ে কোন প্রতিকার পাইনি।

এ ব্যাপারে বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ বাদল মৃধার কাছে জানতে চাইলে সে বলেন, ‘জুলহাস শেখের বয়স প্রায় ৮৮ বছর। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে তার বয়স কম হওয়ায় বয়স্ক ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করে জমা দিলে অবশ্যই বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আব্দুস সালাম বলেন, শুধু তিনিই নন একই সমস্যায় উপজেলায় বহুলোক বয়স্ক ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অনেকের বয়স হয়েছে দেখলেই বোঝা যায়। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম সাল ভুলের কারণে তাদের বাদ পড়তে হয়েছে।

তিনি আরো জানান এ ব্যাপারে নির্বাচন অফিসারের সাথে আলোচনা করে কিভাবে তাদের এই সমস্যা থেকে সমাধান করা যায়, সেই ব্যবস্থা করব।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: