শিরোনাম

South east bank ad

শ্রীবরদীতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

 প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

শেখ সাঈদ আহম্মেদ সাবাব, (শেরপুর) :

শেরপুরের শ্রীবরদীর জালকাটা এলাকায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিশু (১৩) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা শহিদ শেখ (৩৫) বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৮-১০জনকে আসামী করে রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) শ্রীবরদী থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন। এতে প্রধান আসামী করা হয়েছে জালকাটা এলাকার ইয়াছিন ওরফে নতুগুনের ছেলে শুভ মিয়া(১৮)কে। মামলার পর আসামীরা পলাতক রয়েছেন।

মামলা ও ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর বাবা শহিদ শেখ তার স্ত্রী দুলানীকে নিয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য ঢাকায় থাকেন। আর তাদের ১৩বছরের কন্যা সন্তানকে জালকাটা গ্রামে তার শ্বশুর বাড়িতে রেখে পড়াশোনা করার দায়িত্ব দেন শিশুর নানীকে। কথামত নানী স্থানীয় মমতাজ উদ্দিন কেজি স্কুলে ভর্তি করে দেন এবং ওই শিক্ষার্থী পঞ্চম শ্রেণিতে উর্ত্তীণ হয়। এদিকে ওই শিক্ষার্থী স্কুলে যাতায়াতের সময় বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে কু প্রস্তাব দেয় জালকাটা এলাকায় বাসিন্দা ইয়াছিন নতুগুনের ছেলে শুভ। এতে ওই শিক্ষার্থী তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে নানীকে সব খুলে বলে। পরে নানী শুভকে ডেকে নিয়ে ও পরিবারকে সর্তক করে দেন।

কিন্তু গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ওই শিশু বসত ঘর থেকে পানি নেওয়ার জন্য টিউবওয়েল পাড়ে যায়। এসময় বাড়ির পার্শ্বে কলার বাগানে ওঁৎ পেতে বসে থাকা শুভ পেছন থেকে ওই শিক্ষার্থীর মুখ চেঁপে ধরে পাশেই বাঁশঝাড়ের নিচে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই শিক্ষার্থীর ডাক-চিৎকারে নানীসহ আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে শুভ দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।

পরের দিন শুভ ওই শিশুর বিরুদ্ধে অশ্লীল অডিও রেকর্ড করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে শিশুর পরিবার বিচারের আশায় স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাসেলকে জানায়। পরে ওই কাউন্সিলর শালিস বৈঠক বসান। শালিস বৈঠকে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের অশ্লীল রেকর্ডগুলো ডিলিট করে দেন। কিন্তু ধর্ষণের কথা বললে তিনি এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে শিশুর পরিবার বাধ্য হয়ে শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে এতে প্রধান আসামী করা হয় জালকাটা এলাকার ইয়াছিন নতুগুনের ছেলে শুভ মিয়াকে। মামলার পর আসামীরা পলাতক রয়েছেন।

মামলার বাদী শহিদ শেখ বলেন, ‘আমার মেয়ের সাথে যে অন্যায় কাজ হয়েছে তার বিচারের আশায় আমি কাউন্সিলর’র কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু কাউন্সিলর সঠিক বিচার করে দেইনি আমায়। উল্টো আসামীদের পক্ষ নিয়ে বিচার করেছে। এজন্য সুষ্ঠু বিচারের আশায় আমি শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করেছি।’

এ বিষয়ে ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাসেলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘বাজারে আসেন স্বাক্ষাতে কথা বলব বলে ফোন কেটে দেন।’

শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ এনে ওই শিশুর বাবা একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে ওই শিশুকে জবানবন্দি ও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেরপুর পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।’

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: