বরগুনায় অটোরিকশা যেন সড়ক পথে বিমানের ছোঁয়া
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :
বরগুনা শহর যেন অটোরিকশার কারখানা। প্রতিদিনই এ কারখানায় দুই-একটি যোগ হচ্ছে নতুন অটোরিক্সা কিংবা ইজিবাইক। অটোরিক্সার পাশাপাশি মটার যুক্ত করে অটোভ্যান তৈরি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সহ নানা কাজে ব্যবহার হচ্ছে। ফলে অপচয় হচ্ছে বিদ্যুৎ।
এ নিয়ে বিগত এক বছরে বরগুনা পৌরসভার মেয়র ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে করা হয়েছে স্থানীয় পত্রিকা, জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় ফলোআপ নিউজ। পৌরবাসী পায়নি এ বিষয়ে কোন ধরনের সুরাহা। এ সকল অটোরিকশার নেই পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমতি সম্বলিত লাইসেন্স।
দক্ষ অদক্ষ চালকরা প্রতিদিন শহরের মধ্যে নানামুখী যাত্রীদের চাহিদা মেটাতে কয়েক হাজার অটোরিক্সার স্ট্যান্ড করে ট্রাফিক জ্যাম বাড়াচ্ছে। সেইসাথে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিমানের গতিতে চালাতে দেখা যায় অটোরিকশা। ফলে অহরহ ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।
পৌরসভার মধ্যে প্রধান সড়কগুলোর পাশে অটোরিকশা রেখে যাত্রী তোলা হয়। শহরের শহীদ মিনার চত্বর, মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, মাদ্রাসা সড়ক, সদর রোড, পুরাতন থানা এলাকা, আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে এমন অটোরিকশায় সয়লাব।
এনিয়ে ট্রাফিক বিভাগের উদাসীনতাই মূল সমস্যা বলে দায়ী করেছেন সাধারণ মানুষ। নাম পরিচয় গোপন রাখা শর্তে একটি অটোরিকশা চালক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন- মাসোয়ারা দিয়েই রাস্তায় চলতে হয় তাদের। মাসোয়ারা ঘাটতি হলে পঁচিশ শ' থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত মামলায় পরতে হয় অটোরিকশা চালকদের। সদর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ সেলিম বর্তমানে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলায় সদ্য স্থানান্তর হলেও এখনো বরগুনায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এনিয়ে কয়েকমাস পূর্বে সেলিমের বিরুদ্ধে অটো রিকশা চালকরা মানববন্ধন করতে চাইলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উভয়কে ডেকে সমস্যা সমাধান করেন। তবুও থেমে থাকেননি এই সেলিম।
একটি সচেতনমহল বলছেন- পৌরসভার মধ্যে এভাবে অটোরিক্সার দৌরাত্ব বাড়তে থাকলে বিভাগীয় শহরের মতো মফস্বলেও পড়তে হবে তীব্র যানজট সমস্যায়। এ বিষয়ে একমাত্র পৌর কর্তৃপক্ষ সজাগ দৃষ্টি দিলে এই সমস্যা থেকে বের হতে পারবে পৌর শহরে বসবাসরত ও গ্রাম থেকে আগত সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি অপচয় কমবে বিদ্যুৎ ব্যবহারেও।
এ বিষয়ে বরগুনা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজকে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।