স্কুলে পানি থাকায় ক্লাসে ফেরা অনিশ্চিত অনেক শিক্ষার্থীর
মো.আবু জুবায়ের উজ্জল, (টাঙ্গাইল) :
টাঙ্গাইলে যমুনাসহ প্রধান নদীগুলোর পানি কমতে শুরু করায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ, শ্রেনীকক্ষ আর রাস্তাঘাট পানির নীচে থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরা অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে করোনায় প্রায় দেড় বছর স্কুল বন্ধ থাকার পর তা খোলার সিদ্ধান্ত হলেও স্কুলে যাবার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এসব বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার অয়নাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র। স্কুলের মাঠে এখনো কোমর পানি। স্কুলের রাস্তাটি হাটু পানির নীচে। আর শ্রেনীকক্ষের ব্রেঞ্চগুলো রয়েছে পানির নীচে। জেলার চরাঞ্চল ও নীচু এলাকার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চিত্র প্রায় একই রকম। ফলে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও বন্যা কবলিত এসব স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সহসা ক্লাসে ফিরতে পারছেনা সেটা অনেকটাই নিশ্চিত।
টাঙ্গাইল সদর জেলার তিনশ’ ৬৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এরমধ্যে ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষে এখনো পানি রয়েছে। অপরদিকে ৮৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু বিদ্যালয়ের পানি নেমে গেলেও রাস্তাঘাট ও বসতবাড়িতে এখনো পানি থাকার কারনে শিক্ষার্থীদের একটা অংশ ক্লাসে না ফেরার শংশয় রয়েছে শিক্ষকদের মাঝে।
এদিকে ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলার সকল প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। যে কোন উপায়ে ছাত্রছাত্রীদেরকে স্কুলে আনা হবে বলে আশা করছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
এ ব্যাপারে, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আহসান জানান, সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সকল প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। বন্যা কবলিত স্কুলগুলো নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও স্থানীয় ব্যাক্তিদের নিয়ে সমস্যা সমধানের চেষ্টা করা হবে। অর্থাৎ যে কোন উপায়ে ১২ সেপ্টেম্বর শতভাত স্কুল খোলার নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।