শিরোনাম

South east bank ad

টাঙ্গাইলে ৮৯০ হেক্টর জমির আমন নিমজ্জিত

 প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মো. আবু জুবায়ের উজ্জল, (টাঙ্গাইল) :

টাঙ্গাইলে চলতি বন্যায় রোপা আমনসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক। তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে জানিয়েছে, টাঙ্গাইলের চলতি মৌসুমে আমনের চাষাবাদ লক্ষমাত্রা ছাড়িয়েছে। জেলায় ৯৮০ হেক্টর জমির আমন নিমজ্জিত হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৮৯ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। সেখানে ৯১ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে। এ পর্যন্ত বন্যায় ৯৮০ হেক্টর জমির রোপা আমন নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর, কালিহাতীতে ২০৫ হেক্টর, নাগরপুরে ৮০ হেক্টর, মির্জাপুরে ১৪০ হেক্টর, ভূঞাপুরে ১৩০ হেক্টর, গোপালপুরে ১২৫ হেক্টর, সখীপুরে ৪০ হেক্টর ও দেলদুয়ারে ১০৫ হেক্টর।

সদর উপজেলার কাকুয়া গ্রামের কৃষক নুরুল জানান দেশে যে সময় বন্যা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সে সময় হয়নি । এজন্য আমি রোপা আমন এবং সবজি রোপন করেছিলাম । এখন এই অসময়ে বন্যা হয়ে আমার সাড়ে তিন বিষা জায়গার উপর রোপা আমন এবং সবজি নষ্ট হয়েছে । সরকারীভাবে আমাদের যদি প্রনোদনা দিত তাহলে পরের আবাদ ইরি ধান লাগাতে পারতাম ।

একই উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের হুগড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল আওয়াল, ওয়ারেছ, আব্দুর মালেক, সাজান ও আব্দুর রাজ্জাক বলেন আমাদের জমির উপর মাসকলাই, রোপা আমন ও সবজির বাগানসহ সেটি পানিতে নিমজ্জিত। সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকের এই ফসলে খরচ কম হয়। তাই এই ফসল তুলে সেই খরচে পরবর্তী ইরি ধান রোপন করি। কিন্তু এবারে ইরি ধান রোপন করা কস্ট হবে।আমাদের ক্ষতি পুসিয়ে উঠার জন্য সরকারের কাছে প্রণোদনার দাবী করছি।

এবিষয় টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহসানুল বাশার জানান, চলতি বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে নাভি জাতের আমন রোপনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রণোদনার পাশাপাশি আগাম রবিশষ্য চাষে সহায়তা দিয়ে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন তারা। এমন আভাস দিয়েছেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: