কাঠালিয়ায় আশ্রয়হীনের ঘর নিলেন ইউপি সদস্য
মোঃ রাজু খান, (ঝালকাঠি) :
ঝালকাঠির কাঠালিয়ার ০৬টি, ইউনিয়নের নতুন প্রকল্পের প্রধানমন্ত্রী উপহারের ৩২৮ টি ঘর বরাদ্দ দিয়েছে হতদরিদ্রদের মাঝে। কিন্তু সেই হতদরিদ্রর ঘর নিলেন ইউপি সদস্য নিজেই। ৫নং শৌলজালিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃনাসির উদ্দিন আকাশের নামে ঘর বরাদ্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার।
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বরাদ্দকৃত ঘরের সংখ্যা ১নং চেঁচরাঁরামপুর ইউনিয়নে ৩০ টি,২নং পার্টি খালঘাটা ইউনিয়নে,৪৯টি, ৩নং আমুয়াা ইউনিয়নে ৫৪ টি,৪নং কাঠালিয়া ইউনিয়নে ৮৩ টি,৫নং শৌলজালিয়া ইউনিয়নে ৫৭ টি,৬নং আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে ৫১ টি,সর্বমোট ৩২৮ টি। এর মধ্যে ৪৮টি ঘর স্বাবলম্বী ব্যক্তিরা পেয়েছেন বলে এমন অভিযোগ রয়েছে।
হতদরিদ্রের উপহারের ঘর যাদের নামে বরাদ্দ হয়েছে এরমধ্যে অর্ধ শতাধিক স্বাবলম্বী ও জমি বাড়ী রয়েছে এমন লোকের নামেও বরাদ্দ হয়েছে।
কাঠালিয়া উপজেলার ৬টি,ইউনিয়নের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের দাবি, প্রাধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর যদি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিতরন করা হতো তাহলে সঠিক যাদের জমি নাই ঘর নাই সেই মানুষগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই পেত।
জমি নাই ঘর নাই প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার, কাঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনির প্রকল্পের উপদেস্টা। প্রকল্পের সদস্য সচিব উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো:আহম্মেদুর রহমান।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন আকাশ বলেন, ঘরটি আমার নামে নয় আমার মায়ের নামে বরাদ্দ হয়েছে। তাও আমি ইউপি সদস্য হওয়ার পুর্বে। সে ঘরে আমি থাকিও না আমার মা থাকে আমি থাকি কাঠালিয়া সদরে ভাড়া বাসায়।
এই বিষয় প্রকল্পের সভাপতি ও কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার, বলেন, আমি দিন রাত পরিশ্রম করে প্রাধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মান করেছি,মাইকিং করে বোর্ডের মাধ্যমে ঘর বিতরন করা হয়েছে,যাদের পাওয়ার কথা হতদরিদ্রের ঘর তারাই বুঝে পেয়েছে। প্রথমে ঘর বরাদ্দ হয়েছিলো কিন্ত দলিল হয়নি ওই ঘরটি অন্যলোকের নামে বরাদ্দ করা হয়েছে।