শিরোনাম

South east bank ad

বন্যায় নিমজ্জিত গাছের ডালে নারীর ঝুলন্ত মরদেহ!

 প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :

বগুড়ার সোনাতলায় বন্যায় নিমজ্জিত গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ইরিনা বেগম (৪৫) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী আনসার সদস্য পলাতক রয়েছে।

রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সোনাতলা থানার বালিয়াডাঙ্গা উত্তরপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে।

ইরিনা বেগম ওই এলাকার আনসার সদস্য সানোয়ার হোসেনের স্ত্রী। দুই ছেলে ও এক ছেলের বউকে নিয়ে ইরিনা বেগম গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন।

জানা যায়, জিন ভুতের ভয়ে প্রতিবেশী এমনকি পরিবারের কেউ মরদেহ উদ্ধারে এগিয়ে আসছে না। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌছিলেও মরদেহ উদ্ধারে পুলিশকে সহযোগিতা করতে অনাগ্রহ দেখায় অনেকেই। পুলিশের উপস্থিতিতে গাছ থেকে মরদেহ নামানো হলেও অনেকেই ধরতে সাহস পাচ্ছিলেন না। সেই পরিস্থিতিতে থানার ওসি নিজেই মরদেহ উদ্ধারের জন্য হাত লাগাতে দেখলে ২-১ জন এগিয়ে আসেন। আর এভাবেই ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, আনসার সদস্য সানোয়ার নওগাঁ জেলায় কর্মরত। দুই ছেলে আর এক ছেলের বউকে নিয়ে ইরিনা বেগম গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন। শনিবার সন্ধ্যার পর তিনি বাড়ির বাহিরে যান। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। দুই ছেলে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও সন্ধান পাননি। চারিদিকে বন্যার পানি থাকায় বেশি দুরে খুঁজতে যেতেও পারেননি তারা। রবিবার সকাল থেকে দুই ছেলেসহ প্রতিবেশীরা ইরিনা বেগমের সন্ধান শুরু করে। বেলা ১২টার দিকে চারিদিকে বন্যার পানির মধ্যে একটি পিটাহরি গাছের ডালে ঝুলন্ত মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। সমতল থেকে তিন ফুট পানি। সেখানে আরো ২-৩ ফুট উচ্চতায় মরদেহের পা গাছের সঙ্গে ঝুলে আছে।

এদৃশ্য দেখে গ্রামে শুরু হয় বিভিন্ন আলোচনা। কেউ বলে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে, আবার কেউ বলছেন এটা জিনের কাজ। আবার কেউ বলছেন, আত্মহত্যা করলে রাতের অন্ধকারে ওই নারীকে গাছের উচুতে উঠতে হয়েছে। আর তা সম্ভব কি করে? এলাকার লোকজনের ভিন্ন ভিন্ন মতামতের কারণে পরিবারের কেউ এগিয়ে যাচ্ছিল না মরদেহ উদ্ধারে।

পরে সোনাতলা থানার ওসি রেজাউল করিম থানার পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় গাছ থেকে মরদেহ নিচে নামিয়ে আনেন। এরপর মরদেহ কেউ ধরতে চাচ্ছিলেন না। এমনকি ওই নারীর পরিবারের ও কেউ এগিয়ে আসেনি। একপর্যায় থানার ওসি নিজেই এক পুলিশ সদস্যকে নিয়ে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। এসময় এগিয়ে আসেন স্থানীয় দুই ব্যক্তি। পরে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়।

সোনাতলা থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, তিন ফুট বন্যার পানিতে নিমজ্জিত গাছ। সেই গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় মরদেহ। আত্মহত্যা করলে গাছে উঠে গাল রশি দিয়ে ঝুলতে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নানা জনের নানা মত, একারণে ময়নাতদন্ত করতে মর্গে মরদেহ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: