দুর্গাপুরে ভুমিকর কমানোর দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি:
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষে দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে গৃহহীন ও ভমিহীনদের মাথা গোজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন। এটা যেমন বিশ্বের মাঝে এক যুগান্তকারী সফলতার দাবী রেখেছে। অপরদিকে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার তেরীবাজার এলাকায় ৫০ বছর ধরে সরকারি ভুমিতে বসবাসরত প্রায় ১৫০টি নি¤œআয়ের পরিবার, সরকারী ভুমির কর দিয়েও মাথা গোজার ঠাঁই থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন। শনিবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমনটাই জানান ঐ এলাকায় বসবাসরত ভুক্তভুগিরা।
ঐ এলাকার খেটে খাওয়া পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. শাজাহান সরকার। তিনি জানান, আমরা ১৯৬৫সন থেকে তেরীবাজার এলাকায় সরকারের কাছ থেকে প্রাথমিক বন্দবস্ত গ্রহনের মাধ্যমে প্রতি শতক ভুমি ২০ টাকা হারে কর পরিশোধের মাধ্যমে বসবাস করে আসছি। কিন্তু ভুমি মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপন মোতাবেক এখন থেকে প্রতি শতকের কর ৬হাজার ৫শত ২৫ টাকা হারে পরিশোধ করতে বলা হলে চরম বিপাকে পড়ে যাই আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষ গুলো। করোনা প্রেক্ষাপটে সারাদেশে নি¤œআয়ের মানুষ গুলো উপার্জন করতে পারেননি বিধায়, মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংক ঋণের কিস্তি সাময়িক মওকুপ সহ নানা ভাবে প্রনোদনা দিলেও আমাদের ভাগ্যে জোটেনি এসবের কোন কিছুই। কোন রকম দিনাতিপাত করে খেয়ে না খেয়ে সুদের উপর টাকা এনে প্রতিশতক ৬হাজার ৫শত ২৫ টাকা হারে পরিশোধ করতে হয়েছে ভুমি কর ‘‘এ যেন মরার উপর খারার ঘাঁ’’। এ থেকে পরিত্রান পেতে আমাদের মতো অসহায় মানুষের মাথা গোঁজার জায়গা গুলো অর্পিত সম্পত্তির খাত থেকে সরকারের খাস খতিয়ান খাতে এনে আমাদের মাথা গোজার ঠাই গুলোর স্থায়ী ব্যবস্থা করে দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,ও সংশ্লিস্ট মন্ত্রনালয় সহ সরকারের উর্দ্ধতন মহলের কাছে আকুল আবেদন জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে খেটে খাওয়াদের পক্ষে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মো. রুস্তম আলী, মো. বাবুল ভান্ডারী, খুদিরাম সাহা, জোবেদা খাতুন, মো. মুকুল ভান্ডারী, মো. নাজিম উদ্দিন, আয়েশা খাতুন, মোশারফ সরকার, সঞ্জিবন সরকার, শাজাহান মিয়া, জব্বার আলী, রহিমা খাতুন সহ অন্তত: ৫০ ব্যক্তি।