অবৈধ বিয়ে ও বাসরের নামে প্রতিবন্ধী নববধুকে ধর্ষন : আটক-২
এস এম সামছুর রহমান, (বাগেরহাট) :
বাগেরহাটে জোরপূর্বক তালাক ও অবৈধ বিয়ের মাধ্যমে এক প্রতিবন্ধী নববধুতে ধর্ষষের অভিযোগ মামলা হয়েছে। গত ৩১ আগস্ট রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার বেনেগাতি এলাকায় এই ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ দুই আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। আটককৃতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার বেনেগাতি গ্রামের মৃত ইফাজ উদ্দীনের ছেলে ইদ্রিস সেখ (৫০) ও পশ্চিমভাগ গ্রামের মৃত ইব্রহিম মল্লিকের ছেলে আফছার মল্লিক (৬৪)।
মামলার বিবরণ ও পুলিশ জানায়, বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার নাসিরপুর এলাকার ওই প্রতিবন্ধী তরুনীর (১৯) সাথে মাত্র তিনমাস পুর্বে বাগেরহাট দশমিনশা (পাইকপাড়া) এলাকার এক যুবকের সাথে বিয়ে হয়। গত ২৯ আগস্ট সে স্বামীর বাড়ি থেকে পিতার বাড়িতে যায়। ৩০ তারিখ সকালে পিতার বাড়ি হতে সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকায় তার মামাতো বোনের বাড়িতে রওনা হয়। পথে পানি পানের জন্য আফছার মল্লিকের বাড়িতে যায়। পানি পানের পর ওই প্রতিবন্ধী তরুনীর সাথে আফছার আলাপ আলোচনা করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে উচ্চ বেতনে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ওই বাড়িতে রেখে দেয়।
পরের দিন বিকালে ওই প্রতিবন্ধী তরুনীর মুখ বেঁধে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাগেরহাটে নিয়ে আসে। বাগেরহাটের নোটারী পাবলিকের একজন আইনজীবীকে তালাকনামা লিখিয়ে সেখানে ওই প্রতিবন্ধী তরুনীর জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে তার স্বামীকে তালাক দেই।
পরে বাগেরহাট পৌরসভার একজন কাজীর মাধ্যমে বেনেগাতি গ্রামের মৃত ইফাজ উদ্দীনের ছেলে ইদ্রিস সেখের সাথে বিয়ে তার বিয়ে দেয়। সেখান থেকে ইদিস সেখ তার বাড়িতে নিয়ে রাতে বাসরের নামে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পরের দিন সকালে ওই তরুনী পালিয়ে পাশ্ববর্তি গ্রামের এক মহিলা ইউপি সদস্যের কাছে বিষয়টি খুলে বলে।
এঘটনায় ওই নববধুর পিতা বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) কেএম আজিজুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর পুলিশ দুই আসামীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে।