গুচ্ছগ্রাম পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ডঃ রহিমা খাতুন
আরাফাত হাসান, (মাদারীপুর) :
মাদারীপুরের পদ্মার বিস্তীর্ণ চরের চরচান্দ্রা গুচ্ছগ্রাম পরিদর্শন করেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ডঃ রহিমা খাতুন।
আজ ২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে নির্মিত চরচান্দ্রা গুচ্ছগ্রামটি পরিদর্শন করেছেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের চরচান্দ্রা মৌজায় নদীভাঙা হতদরিদ্রদের জন্য নির্মাণ করা হয় গুচ্ছগ্রামটি। সেখানে ৯০টি টিনশেড ঘর নির্মাণে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। নাগরিক সুযোগ-সুবিধা না থাকায় গুচ্ছগ্রামটি মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বরাদ্দ পাওয়া পরিবারগুলো আর্থিকভাবে কিছুটা সচ্ছল থাকায় তারা আরও এক থেকে দেড় বছর আগে এই ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্য স্থানে। বর্তমানে নদীভাঙনের শিকার হয়ে ভাসমান তিনটি পরিবার এখনে আশ্রয় নিলেও তারা কেউ বরাদ্দ পাওয়া পরিবার নয়। বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু একটি পরিবারের দুজন বাসিন্দা চরচান্দ্রা গুচ্ছগ্রামে বসবাস করছেন।
এ নিয়ে বুধবার জাতীয় এক পত্রিকার ‘বিচ্ছিন্ন চরে কোটি টাকার গুচ্ছগ্রাম, বাসিন্দা দুজন’ এই শিরোনামে এবং অন্যান্য পত্রিকায় বিভিন্ন শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই বিষয়টি নজরে আসে কর্তৃপক্ষের।
গুচ্ছগ্রামটি পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক ডঃ রহিমা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামটি যখন করা হয় তখন স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজার থেকে শুরু করে সবই ছিল। তাই ঘর বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা গুচ্ছগ্রামের ঘরগুলোতে উঠেছিলেন। সেই ছবি আমি দেখলাম। তবে গত অর্থবছরে স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজারসহ সবই পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গুচ্ছগ্রামের কয়েকটি ঘরও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঘরগুলো নদীতে বিলীন হওয়ার চিন্তা থেকে গুচ্ছগ্রামের উপকারভোগী লোকজন এখন আর ঘরে থাকছেন না।’