বরগুনায় মহাসড়ক ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর চাতাল
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :
বরগুনার শাখাভিত্তিক বিভিন্ন যাতায়াত পথ ও আঞ্চলিক মহাসড়কের বেশিরভাগ অংশে এখন কৃষকদের ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ চলছে। ফলে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা।
আর সড়ক দুর্ঘটনার নানা ধরনের কারণের মধ্যে আরেকটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিজে খড়। ধান মাড়াইয়ের পরে অবশিষ্ট ভিজে খড় শুকানোর জন্য পাকা সড়ক ও মহাসড়ক ব্যবহার করছে কৃষকরা। এ যেন বরগুনায় সড়কে সড়কে খড়ের সমারোহ দেখা গেছে। কেবল খড়ই নয়, ধান কেটে মাড়াইয়ের জন্য রাস্তার উপরে স্তূপ করে রাখা হয়।
তাছাড়া রাস্তাঘাটে খানাখন্দ থাকায় শুকাতে দেয়া খড়ের কারণে পথের দ্বাড় দেখতে না পেরে হোঁচট খেয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে ওই গাড়ির ড্রাইভারকে। একই সাথে জীবন ঝুঁকিতে থাকে গাড়িতে থাকা যাত্রীদের।
বরগুনা-ঢাকা মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ থেকে সুবিদখালী, বেতাগী থেকে চান্দখলী বাইপাস সড়কের বিস্তীর্ণ জায়গায় ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ চলছে। ৫০ কিলোমিটার এ মহাসড়কটির আশেপাশে থাকা কয়েক শ' গ্রামের কৃষকরা তাদের ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর জন্য ব্যবহার করছে ব্যস্ততম এ মহাসড়ক। ফলে প্রশস্ত সড়ক পরিণত হয়েছে সরু রাস্তায়।
বর্তমানে ইরি মৌসুমে কৃষকরা ধান কাটা ও মাড়াইতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জমি থেকে ধান কেটে আনার পর চলছে মাড়াইয়ের কাজ। মাড়াই শেষে শুরু হয় ধানের খড় শুকানো। এরপর স্তূপ করে রাখা হয় ওই সব শুকনো খড়। কেউ বিক্রির জন্য আবার কেউবা নিজের পালিত গরুর জন্য শুকনো খড় মজুদ করে রাখেন। ফলে ব্যস্ততম বরগুনা-বেতাগী-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়ক যেন ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর চাতালে পরিণত হয়েছে।
এতে সড়কের বড় একটি অংশ বেদখল হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। প্রায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় হতাহতের ঘটনা। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মাহিন্দ্রা, অটো রিকশা, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল আরোহীরা।
বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনই ব্যবস্থা না নিলে ঘটতে পারে বড় কোনো সড়ক দুর্ঘটনা। তাই বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার আগেই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হোক। এমনটাই সচেতন মহল ও স্থানীয়দের দাবি।