ময়মনসিংহে কালভার্ট ভেঙে ভোগান্তি
রাসেল আহমেদ, (ময়মনসিংহ) :
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা ঘাগড়া ইউনিয়নে পাড়াইল বাজার থেকে বাড়েরা বাইপাস সড়ক এলাকায় মরাকুড়ি বাজারে একটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। এলজিইডির কর্তৃক নির্মিত সেতুটি পুরোপুরি ভেঙে পড়লে ওই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। ভোগান্তি নিরসনে ওই স্থানে দ্রুত নতুন কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,রাস্তাটিতে কোনো কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের পার্শ্ববর্তী দাপুনিয়া হয়ে ময়মনসিংহ আর না হয় চুড়খাই হয়ে ময়মনসিংহ যাতায়ত করতে হবে। একদিকে যেমন দীর্ঘ সময় ব্যয় হবে। হবে যাতায়াত খরচ বৃদ্ধি। বিকল্প রাস্তা না থাকায় এ ভোগান্তি পড়তে হবে তাদের।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ময়মনসিংহসহ পণ্য নিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচল করে কয়েক শ পণ্যবাহী যানবাহন। এ ছাড়া অসংখ্য ব্যাটারি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাহেন্দ্ৰসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এখন কালভার্টি ভেঙে যাওয়ায় এসব যানবাহন সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অটোরিকশা চালক মোঃরমজান মিয়া বলেন,দীর্ঘ দিন অনেক কষ্ট চলতে হচ্ছে আমাদের, যাত্রী নামিয়ে খালি গাড়ি পার করে যাত্রী তুলতে হয়।
চাকরিজীবি আতিকুল ইসলাম বলেন, সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি দিয়ে ছোট-বড় অনেক গাড়ি চলাচল করে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।' এদিকে ভাঙা ওই সেতু দিয়ে চলাচল করার জন্য মাটি দিয়ে ভরাট করে দিয়েছেন স্থানীয় জনগন।
আরেক বাসিন্দা রতন আলী বলেন,সেতু দিয়ে ছোট যানবাহন ও পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে পারলেও ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ত্রিশাল থেকে মাছের খাদ্য নিতে আসা লড়ি চালক আকরাম হোসেন বলেন, এইখান দিয়ে তো গাড়িই পার করতে পারাচ্ছি না, খাদ্য নিবে কিভাবে, স্থানটিতে দ্রুত সেতু নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকার সাজু বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে কালভার্টটি ভেঙে স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। নিজেও সহযোগিতা করে সংস্কারে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কালভার্ট বড় হওয়ায় সাময়িক মেরামত ঠেকানো যাচ্ছে না।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহনেওয়াজ বলেন, কালভার্ট ভেঙে ভোগান্তির বিষয়ে তিনি অবগত নন। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।