সেই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করলেন কলেজ ছাত্রী
মশিউর রহমান কাউসার, (গৌরীপুর) :
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিয়ের দাবিতে ফাঁসির দড়ি নিয়ে অনশনে থাকা কলেজ ছাত্রীর বাবা পুলিশ সদস্য রানা মিয়ার (২৭) বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) গৌরীপুর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
মোঃ রানা মিয়া উপজেলার খালিজুরী গ্রামের মোঃ মজনু মিয়ার ছেলে। সে বর্তমানে নরসিংদীর পলাশ থানায় পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। অপরদিকে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর বাড়ি একই উপজেলার পাশর্^বর্তী গ্রামে।
ভুক্তভোগী তরুণী সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ কনস্টেবল রানা বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে। শনিবার (২৮ আগস্ট) রাতে বাড়ির সামনে দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে স্থানীয় লোকজন। এনিয়ে ওই রাতে সালিশ চলাকালে রানা কৌশলে পালিয়ে যান। তাই পরদিন বিকেল থেকে ফাঁসির দড়ি সঙ্গে নিয়ে রানার ঘরে অবস্থান করলেও সম্পর্ক মেনে নেয়নি রানার পরিবারের লোকজন। রানা যদি তাকে বিয়ে না করে তাহলে আত্মহত্যা করবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা সাংবাদিকদের জানান, তার মেয়ে রানার বাড়িতে দুদিন অবস্থান করলেও সম্পর্ক মেনে নেয়নি রানার পরিবারের লোকজন। এদিকে রানা আত্মগোপনে রয়েছে। বিয়ের প্রলোভনে তার মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় রানার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় মন্তব্য জানতে রানার ০১৯১০-১২৩৭৫০ এই মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে সংযোগটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, আদালতে জবানবন্দি ও ফরেনসিক পরীক্ষার পর ভিকটিমকে তার পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলেই রানাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।