বলছিলাম অন্ধ বৃদ্ধা সবিতা দাশের জীবন
এম.এম.জাহিদ হাসান হৃদয়, (আনোয়ারা) :
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৭নং সদর ইউনিয়নের বিলপুর গ্রামেই তার বাড়ি। স্বামী শশাঙ্ক দাশ মারা গেছে প্রায় ১০ বছর। পরিবারের এক মাত্র উপার্জক তার ছেলে প্রকাশ দাশ (৩৮) স্ট্রোক করে মারা গেছে আজ একমাস। তার ছেলের বিধবা স্ত্রী চন্দনা দাশ (৩২) আর ৮ বছরের নাতনী বর্ণা দাশকে নিয়েই এই করোনায় মানবেতর জীবনযাপন করছে বয়স ৭০ ছুঁই ছুঁই অন্ধ সাবিতা দাশ নামের এই বৃদ্ধা।
স্বামীর ভিটাই মাথা গোঁজার ঠাঁই তো আছেই তবে বর্ষায় মাথার উপর পড়া বৃষ্টি থামানোর মতো ছাদ নেই তাতে। একপাশে ঝুঁকে আছে ঘরটা যেন তার বয়সের সাথে তাল মিলিয়ে ঘরটাও যায় যায় অবস্থা। ছেলে মারা যাওয়ার পর এখন আর আগের মতো দু'মোঠো ভাতও জুটেনা দু'বেলায়। নাতনিটার পড়ালেখাও হয়তো আর চালানো যাবেনা। নিজের বলে কেউ এখন সাহায্যে জন্য এগিয়ে আসবে এমনও কেউ নেই আর। তাই এদের চাওয়া পাওয়া সব সরকার এবং জনপ্রতিনিধিদের কাছে।
মুখ দিয়ে তেমন কথা বলার শক্তি নাই বৃদ্ধার। তবুও অস্পষ্ট আওয়াজে যা বললেন,আর পোয়া মারা গেইয়ি। খুব হষ্টত আছি। ঘর ভাঙ্গি গেইয়ি। বাবু মিয়ের পোয়া জাবেদ যদি আরে এক্কানা চাইতো!
এই বিষয়ে ৮নং বিলপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু সৈয়দ বলেন,পরিবারটি খুবই অসহায়। একমাত্র উপার্জন করার লোকটি মারা গেছে। ঘরটিও ভাঙ্গা, যেকোন সময় ভেঙে পরতে পারে। মাননীয় ভূমি মন্ত্রী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটাই অনুরোধ যাতে তাদের ঘরটি যেন মেরামত করার ব্যবস্থা করে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জুবায়ের আহমেদের সাথে কথা হলে তিনি ওই পরিবারের লোকদের সাথে সরাসরি দেখা করে সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।