South east bank ad

৯৯৯ এ ফোন কলে মেঘনা নদীতে ডুবন্ত নৌযান থেকে জীবিত উদ্ধার পাঁচ শ্রমিক

 প্রকাশ: ৩০ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে মেঘনা নদীতে ডুবন্ত একটি বালি বোঝাই নৌযান (বাল্কহেড) থেকে এক শ্রমিকের ফোন কলে জীবিত পাঁচ শ্রমিককে উদ্ধার করেছে লক্ষীপুরের মজু চোধুরী ঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ।

রবিবার (২৯ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় ৯৯৯ কলটেকার কনষ্টেবল মোঃ রতন হোসেন একটি কল রিসিভ করেন। ভয়ার্ত ও উদ্বিগ্ন স্বরে কলটি করেছিলেন মেহেদী নামে একজন নৌশ্রমিক, তিনি জানান তারা বালিবোঝাই একটি নৌযান যোগে লক্ষীপুরের মজু চৌধুরী ঘাট থেকে নোয়াখালীর কমলগঞ্জ যাচ্ছিলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর তীব্র স্রোত ও ঢেউয়ের তোড়ে তাদের নৌযানটি এক পাশে কাত হয়ে গেছে, যেকোন মুহুর্তে এটি ডুবে যেতে পারে। কলার আরো জানান নৌযানটিতে তিনি সহ মোট পাঁচজন শ্রমিক আছেন এবং বর্তমানে মেঘনা নদীর মতিরহাটের কাছাকাছি আছেন। কলার বারবার আর্তস্বরে তাদের বাঁচানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছিলেন।

৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ, লক্ষীপুর জেলা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও কোষ্ট গার্ড নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানিয়ে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়। ৯৯৯ ডিসপাচার এএসআই (সহকারী সাব ইন্সপেক্টর) নাহিদা সুলতানা এবং ৯৯৯ ডিউটি টীম সুপারভাইজার ইন্সপেক্টর জনাব নাসিমুল হক বিষয়টি নিয়ে নৌ পুলিশ এবং কলারের সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে শুরু করেন।

৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে লক্ষীপুরের মজু চোধুরী ঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ি পুলিশের একটি উদ্ধারকারী দল অবিলম্বে রওনা দেয়। পরে উদ্ধারকারী পুলিশ দলের এ এস আই (সহকারী সাব ইন্সপেক্টর) মোঃ আরিফ হোসেন ৯৯৯ কে ফোনে জানান তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ডুবন্ত নৌযানের শ্রমিকদের উদ্ধার করে তাদের নৌযানে নিয়ে নেন, তাদের খাবার ও পানীয় সরবরাহ করা হয় এবং নিরাপদে তীরে নিয়ে আসা হয়েছে। ডুবন্ত নৌযানটির মালিক পক্ষকে খবর দেয়া হয়েছে তারা বৃহৎ নৌযান নিয়ে আসলে ডুবন্ত নৌযানটিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৯৯৯ দেশের যে কোন প্রান্তে চব্বিশ ঘন্টা নাগরিকের জরুরী মুহুর্তে ও প্রয়োজনে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এম্ব্যুল্যান্স সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: