শিরোনাম

South east bank ad

ভোলায় শালিসে মারধরের ঘটনায় রিকশা চালকের আত্মহত্যা

 প্রকাশ: ২৯ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

ইকরামুল আলম, (ভোলা) :

ভোলার লালমোহন উপজেলায় রিকশা চুরির দায়ে শালিসে মারধর করায় মো. হোসেন (৩০) নামের এক রিকশাচালক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত হোসেন লালমোহন পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের শেখের দোকান এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। শনিবার দিবাগত রাতে ওই এলাকায় এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে নিহত হোসেনের মা কমলা বেগম আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল কবির, সিরাজ ও আকতার হোসেনসহ তিন জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরো ৮-৯ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত চার দিন আগে লালমোহন পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের সিরাজের গ্যারেজে থেকে ব্যাটারী চালিত একটি রিকশা চুরি করে হোসেন। পরে ওই রিকশাটি বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে শান্তিরহাট এলাকায় বিক্রি করে অগ্রিম সাত হাজার টাকা নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে রিকশার মালিক সিরাজ রিকশার সন্ধান পেয়ে ওই যায়গা থেকে সাত হাজার টাকা ফেরত দিয়ে রিকশা নিয়ে আসে। এবং হোসেনকে ডেকে এনে স্থানীয় আকতার দালাল নামে এক সুদি কারবী মিলে তাকে বেধরক মারধর করে। পরবর্তীতে শনিবার সন্ধ্যার দিকে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল কবীরের অফিসে পূণরায় বিষয়টি নিয়ে শালিস বৈঠক হয়। শালিসে রিকশা চুরির দায়ে হোসেনেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবং তার মাকে ডেকে এনে ছেলেকে শাস্তি দেওয়ার জন্য বলেন কাউন্সিলর। শালিসে দ্বিতীয় দফা মারধর করা হয় হোসেনকে। এ অবস্থায় হোসেন শালিসের মারধর ও অপমান সইতে না পেরে বাসায় গিয়ে রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির পাশের আম গাছের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে অনেক খোজাখুজি করে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে রাতেই লালমোহন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ থানায় নিয়ে আসে। এবখ রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে লালমোহন পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল কবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শালিসে হোসেনকে কোনো প্রকার মারধর করা হয়নি। একটি কুচক্রি মহল আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ ঘটনার সাথে জড়াচ্ছে।

লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর মূল কারণ জানা যাবে। এছাড়াও এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: