বগুড়ার মোটর গ্যারেজে গাড়ির ভেতরে চালকের লাশ
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
বগুড়া শহরের মালতিনগর বকশীবাজার এলাকায় এক ব্যাংক কর্মকর্তার গাড়ি রাখার গ্যারেজে প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে ফেরদৌস আলী (৪৩) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফেরদৌস আলী ওই প্রাইভেট কারের (ঢাকা মেট্রো-গ-১৪-৫২৯৪) চালক ছিলেন।
শনিবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। তবে কিভাবে তার মৃত্যু হলো সে সম্পর্কে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি। ফেরদৌস আলী জেলার গাবতলী উপজেলার সোনারায় এলাকার মোস্তার ছেলে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বকশীবাজার এলাকার ওই গ্যারেজটির মালিকের নাম জিয়া আনসারী। তিনি ঢাকায় অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত। তার স্ত্রী পেশায় একজন চিকিৎসক এবং তিনিও ঢাকায় কর্মরত। তারা মালতিনগর এলাকার হাইস্কুল সড়কের একটি বাড়িতে বসবাস করেন। তবে তাদের গ্যারেজ বকশীবাজার এলাকায় এবং সেখানেই তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কার রাখা হয়। বেলাল হোসেন নামে একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান কাম কেয়ারটেকার ওই গ্যারেজ দেখাশোনা করেন।
শনিবার সন্ধ্যার পর তিনি বকশীবাজার এলাকায় গ্যারেজের ভেতরে যাওয়ার জন্য সাটার খোলার পর প্রচন্ড দুর্গন্ধ পান। পরে তার ভেতরে রাখা প্রাইভেটকারের ভেতরে চালকের লাশ দেখে স্থানীয় লোকজনকে অবহিত করেন। রাত পৌণে ৮টার দিকে একজন বগুড়া সদর থানার ওসির মোবাইল ফোনে কল দেন।
বগুড়া সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, ফোন পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। এরপর রাত ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়া আনসারী বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে জিয়া আনসারী জানান, তিনি ও তার স্ত্রী ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে গত বৃহস্পতিবার রাতে চালক ফেরদৌস আলীসহ প্রাইভেট কার নিয়ে সাতমাথায় যান। এরপর চালককে গাড়ি নিয়ে গ্যারেজে ফিরে যেতে বলে তারা নৈশ কোচে ওঠেন।
ফয়সাল মাহমুদ জানান, প্রাইভেট কার চালকের মৃত্যু কিভাবে হলো সে ব্যাপারে জিয়া আনসারী কিছুই বলতে পারেন না। তবে তিনি বগুড়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
কিভাবে চালক ফেরদৌসের মৃত্যু হলো সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট বিষয়টি পরিষ্কার হবে।