শিরোনাম

South east bank ad

দুর্গাপুরে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নাটকীয় মামলা

 প্রকাশ: ২৯ অগাস্ট ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এস.এম রফিক, (দুর্গাপুর) :

নেত্রকোণার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে তর্কের জের ধরে পুত্রবধূ’র দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম তোফায়েল আহমেদ’র স্ত্রী জুবেদা খাতুন(৫৫)ফেরারী দিনাতীপাত করছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা প্রাক্তণ কমান্ড কাউন্সিল ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। অভিলম্বে মিথ্যে মামলার হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রসাশনের সাথে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের প্রাক্তণ ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার স্থানীয় বেশক’জন বীরমুক্তিযোদ্ধাগনকে নিয়ে ২৮ আগস্ট শনিবার দুপুরে সৌজন্য সাক্ষাত করেণ। রেখা মল্লিক গত ১২ আগস্ট মারপিটের ঘটনায় অভিযোগ দাখিল করেণ। ঐ অভিযোগের দীর্ঘদিন পূর্ব থেকেই মো. আবু তালেব ঢাকার একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে কর্মরত আছেন সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ এমন একটি প্রত্যয়ণ দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শাহ নুর-এ আলম ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিবেন বলে তাঁদের আশ্বস্থ করেছেন এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি। ঐ মিথ্যে মামলা দায়ের করেণ পুত্রবধূ মোছা. রেখা মল্লিক। সে বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহমেদ এর বড় ছেলে মো.আবু তালেব’র স্ত্রী। তাঁদের সংসারে আঠার বছর বয়সী কন্যা ও সাত বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে।

২৭ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, দুর্গাপুর ইউপি’র কালিকাপুরের মো. আবু তালেব ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ২০০২ সালে মোছা. রেখা মল্লিক(৩৬) বিয়ে করেণ। স্বামী-স্ত্রী দু-জনই ঢাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ১২ বছর চাকুরী করেণ। এর পর নিজ বাড়িতে এসে একটি ঘর নির্মাণ করেণ। সম্প্রতি ঐ পুত্রবধূ শ^াশুরিকে মুক্তিযোদ্ধার জন্য বরাদ্দকৃত ব্যাংক থেকে হোম লোন বাবদ টাকা উঠিয়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করেণ। এতে অপারগতা প্রকাশ করেণ শ^াশুরি বৃদ্ধা জুবেদা খাতুন। পুত্রবধূর কথামতো টাকা না তোলায় শাশুরী, স্বামী ও তিন ননদের ওপর চরম ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। বাপের বাড়িতে বেড়াতে যান পুত্রবধূ রেখা মল্লিখ। সেখানে গিয়ে মারপিট,শারীরিক নির্যাতন, যৌতুক,ঘরবন্দি করে রাখার অভিযোগ তুলে গত ১৪ আগস্ট দুর্গাপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেণ। ঐ মামলার আসামী করা হয়েছে বৃদ্ধা মা বীরমুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জোবেদা খাতুন(৫৫), ছেলে আবু তালেব(৩৮)বিবাহিত কন্যা নার্গিস আক্তার(২৭) বিলকিছ আক্তার(৩০)ফরিদা আক্তার(৩৫)এর বিরুদ্ধে। মিথ্যে মামলা দায়ের ঘটনাটি শুনে স্থানীয়দের মাঝে ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রবীণ ব্যক্তিত্ব মো. ছবিবুর মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান,ঐ পুত্রবধূ যেদিন পিত্রালয়ে বেড়াতে গিয়েছে। সেদিন আমার সামনে দিয়ে অটোতে করে ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে গেছে। পরে শুনলাম নাকী মামলা দায়ের করেছে, সেটি একটি মিথ্যো মামলা। আমি এ ঘটনায় অত্যন্ত ব্যতিত। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উচিত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রতিবেদন দেয়া।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনুর আলম সাজু জানান, সত্য ঘটনা কখনো ধাপাচাপা দেয়ার সুযোগ নেই। তবে ঐ মামলাটি একটি সাজানো কাহিনী। নিরীহ মুক্তিযোদ্ধার ঐ পরিবারটিকে হয়রানী করা ছাড়া আর কিছুই নয়, এ ঘটনার আমি নিন্দা জানাই।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের প্রাক্তণ ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিষয়টির সত্যতা জানার চেস্টা করেছি। বীরমুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও সন্তাদের জড়িয়ে যে মিথ্যে মামলাটি পুত্রবধূ করেছে সেটি একটি নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শাহ নুর-এ আলম জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: